শেষ যাত্রায় DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দা

তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: শেষ যাত্রায় মইদুল ইসলাম মিদ্যা বাম ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে মৃত বাঁকুড়ার। কোতুলপুরের এই ডিওয়াইএফআই কর্মীর তাঁর প্রিয় সংগঠনের পতাকা মােড়া মৃতদেহ চোরকোলা গ্রামে পৌঁছায় সােমবার গভীর রাতে। মঙ্গলবার ওই গ্রামে মইদুল ইসলামের শেষ যাত্রায় অংশ নিলেন হাজার হাজার মানুষ। উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই এর সর্বভারতীয় সাধারণ
সম্পাদক অভয় মুখােপাধ্যায়, রাজ্য সম্পাদক সায়নদী মিত্র, সভানেত্রী মিনাক্ষী মুখােপাধ্যায়, সিপিআইএম নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক মনােরঞ্জন পাত্র, দলের নেতা তাপস চক্রবর্তী সহ অসংখ্য বাম নেতা কর্মীরা। উপস্থিত সিপিআইএম কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ একটিবার চোখের দেখা দেখতে চান তাঁদের প্রিয় ‘কমরেড’কে। সকলেই চাইছিলেন মইদুলের কাছে একটিবার পৌঁছাতে। যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে হাজির ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিন সকাল দশটার পর মইদুল ইসলামের মৃতদেহ নিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে শেষ যাত্রা শুরু হয়। পরে গ্রামের একটি ফঁাকা মাঠে এসে সেখানে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন শেষে নির্দিষ্ট কবররস্থানে নিয়ে গিয়ে সেখানে তাঁকে কবরস্থ করা হয়।

    এদিকে বাম ছাত্র যুব সংগঠনের ডাকে নবান্ন চলাে কর্মসূচীতে গিয়ে মৃত বাঁকুড়ার কোতুলপুরের মইদুল ইসলাম মিদ্দার পরিবারের একজনকে চাকরীর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমে এই খবর দেখেছেন মইদুলের গ্রাম চোরকোলার মানুষ। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে মৌখিক প্রতিশ্রুতি নয়,
    কোনও এক সরকারী আধিকারিককে গ্রামে এসে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। প্রসঙ্গত, সােমবার রাতে কলকাতা থেকে মইদুল ইসলাম মৃতদেহবাহী শকট চোরকোলা গ্রামে পাঁছায়। মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ মৃতদেহ কবরস্থ করার কথা ছিল। কিন্তু পরিবারের একমাত্র রােজগেরে সদস্যকে হারানাে মানুষ গুলির পাশে দাঁড়াতে মৌখিক নয়, লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। অবশেষে স্থানীয় ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের তরফে পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাসে প্রায় দশটা নাগাদ কবরস্থানের উদ্দেশ্যে মৃতদেহ নিয়ে রওনা দেন গ্রামবাসী ও আত্মীয় স্বজনেরা।
    লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে ? সেটাই কি শেষ কথা ? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ! ‘ব্রেকিং আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানােয়বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সােশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তাে ? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাত পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।