|
---|
পারিজাত মোল্লা : রবিবার রাজারহাটে এক বেসরকারি হোটেলে ই কমার্স সংস্থা ‘টেকনো এক্সপনেন্ট’ তাদের ১২ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করলো। এই উদযাপনে এই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বিদেশের অনেকেই এসেছিলেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। একটু পেছন ফেরা যাক।সালটা তখন ২০১১। সেবছর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল কলকাতা শহরের তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪১ ডিগ্রি। সেই নেতিবাচক পরিস্থিতিতে কল্যাণী আইটি থেকে সদ্য পাশ করা দুই বঙ্গতনয় সব্যসাচী সাহা ও অভয় দেবনাথ কলকাতার বাগুইহাটি অঞ্চলে একটি দশ বাই বারো ঘরে আইটি ব্যবসার স্বপ্ন নিয়ে অফিস খোলে। লক্ষ্য স্থির আর সঠিক পরিকল্পনায় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেদের উন্নত করেছেন একজন সফল আই টি উদ্যোগী হিসেবে। টেকনো এক্সপোনেন্ট ১১ বছর অতিক্রম করে এখন পরিচিত হয়েছে টেকনো এক্সপোনেন্ট টি- ওয়েব এক্সপো নেন্ট সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড নামে। ই কমার্স মার্কেটিং এর দুনিয়ায় ডিজিটাল মার্কেটিং ওয়েব ডেভলপার, মোবাইল ডেভলপার, ডেস্কটপ ডেভলপার, ডেডিকেটিং হায়ারিং ও প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর জগতে নিজেদের বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়ে বিশ্বমানের পুরস্কার টাইমস্ গ্রুপ, এশিয়া ওয়ান ম্যাগাজিন থেকে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি আদায় করেছে।এখন সংস্থার কর্মী সংখ্যা প্রায় ২৭৫ জন। সাত হাজার স্কোয়ার ফুটের অফিস হচ্ছে সেক্টর ফাইভের আই টি হাবে। মূল অফিসে সি টি ও হিসেবে আছেন অভিজ্ঞ মাইকেল কলিন্স। সংস্থা ব্যবসা ছড়িয়েছে আমেরিকা,কানাডা,সুইডেন সহ বিভিন্ন ইউরোপিয়ান দেশে।আমেরিকার দায়িত্বে আছেন গ্রাহাম গোভার্ডও ড: রবার্ট গ্রেগ্রিয়া।পূর্ব কলকাতার উপনগরী রাজারহাট -নিউটাউনে এক সাততারা হোটেলে আয়োজিত দ্বাদশ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে দুই পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার পক্ষে সি ই ও ,প্রতিষ্ঠাতা সব্যসাচী সাহা , অভয় দেবনাথ, সি টি ও মাইকেল কলিন্স, জয়েন্দ্রিশা ঠাকুর সাহা, অন্বেষা সাহা , সুদীপ্ত অধিকারী, সম্রাট নাগ, সৌরভ ভৌমিক প্রমুখ। আমন্ত্রিত ছিলেন গ্রাহক ডিমিক্স সংস্থার পার্টনার জেন দে স্মিট ও ব্রিলিয়ান্ট ল্যাব এর সি ই ও বোবাক। আমন্ত্রিতদের সম্বর্ধনাও দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে সংস্থার কর্মীদের কর্ম কুশলতার কারণে পুরষ্কৃত করা হয়। থাকে কুইজের অনুষ্ঠান।সংস্থার দুই প্রাণপুরুষ সব্যসাচী সাহা ও অভয় দেবনাথ বলেন,-“আমরা কঠোর পরিশ্রম ও বিশ্বাসযোগ্যতার নিরিখে গত ১১ বছরে সাফল্যের একটি স্তর অতিক্রম করেছি।আগামী দিনে আমরা প্রমাণ করবো ভারতীয় সংস্থা হিসেবে বিশ্বের বাজারে কলকাতা সামনের সারিতে”।