কানে পুঁজ বা কানের ছিদ্র পথে কোনো সংক্রমক হলে তার ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিই

আতাউল্লাহ আহমেদ, কালিয়াচক:

    কানের ছিদ্রপথে কোনও সংক্রমণ হলে তাকে চিকিৎসা পরিভাষায় সুইমার’স ইয়ার বলা হয়। সাধারণত কানে ভিতরে জল জমে এই সংক্রমণ হয় বলে এই রোগকে এমন নামে ডাকা হয়ে থাকে। অনেকেই পুকুর বা সুইমিং পুল থেকে স্নান করে ওঠার পর ভালো করে কানের ভেতরটা মোছেন না, ফলে জল জমতে জমতে এক সময় তা থেকে সংক্রমণ দেখা দেয়। প্রসঙ্গত, এই রোগ যে কেবল মাত্র সাঁতারুদেরই হয়, এমনটা ভেবে নেবেন না। এই ধরনের সংক্রমণে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন।

    কী কী কারণে এই রোগ হয়:
    কানের ভিতরে ব্য়াকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সংক্রণমের কারণেই এই রোগ হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে হিয়ারিং এড ব্য়বহার করলে, অযথা বারংবার কান পরিষ্কার করলে এবং কানের ভিতরে একজিমা হলেও এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সর্বোপরি, যারা খুব গরম আবহাওয়ায় থাকেন অথবা ড্রাই স্কিনের সমস্য়া আছে, তাদেরও সুইমার’স ইয়ার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রসঙ্গত, একবার এই ধরনের সংক্রমণ হলে যে দ্বীতিয়বার হবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই কিন্তু।
    লক্ষণ:
    এই ধরনের সংক্রমণ হলে প্রচণ্ড কান চুলকাবে। সেই সঙ্গে কানে ব্য়থা এবং পুঁজ বেরনোর মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে কান ফুলেও যেতে পারে। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো যে এই ধরনের সংক্রমণ মোটেই ছোঁয়াছে নয়। এইসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। তবে এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে যা এই ধরনের সংক্রমণ কমাতে দারুন কাজে আসে।

    ঘরোয়া পদ্ধতি:
    রসুন:
    এতে অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল প্রপাটিজ থাকায় সংক্রমণের জন্য় দায়ী জীবানুগুলিকে মারতে এটি দারুন কাজে আসে।
    পেঁয়াজ:
    এটি ডিসইনফেকটেন্ট হওয়ায় এই ধরনের রোগ সারাতে দারুন কাজে আসে।

    পেঁয়াজ ও রসুনকে ভালোভাবে বেঁটে রস বেরকরে কোয়েকফোঁটা সর্ষের তেল দিয়ে ওই মিশ্রনকে হালকা উননে গরম করে ঠান্ডা হলেই কয়েক ফোঁটা করে কানে দিলেই খুব শিগ্রই ভালো হয়ে যাবে অথবা কানে পুঁজ থাকলে দেখবেন জমে থাকা পুঁজ কেমন বেরিয়ে আসে। আর একবার পুঁজ বেরিয়ে গেলেই দেখবেন যন্ত্রণা কমে গেছে।