হারের ভয়ে ভোট টানতে মরিয়া মোদী , সাধারণ ভোটারদের প্রলভন দিতেই এই খয়রাতি বাজেট ফানুস ছাড়া কিছুনা

নিউজডেস্ক, নতুন গতি :

    এই বাজেট বিজেপি সরকারের মনমোহনী মনে হলেও এর পেছনে যে সত্য লুকিয়ে আছে সেটি হলো সম্প্রীতি লোকসভা ভোটের আসন পরিসংখ্যান অনুযায়ী এনডিএ জোট তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। নোট বন্দি জিএসটি এবং দু’কোটি চাকরি কালো টাকা ফিরিয়ে আনার ফানুস আজ গোটা দেশের কাছে উন্মোচিত তারই ফলশ্রুতি সম্প্রীতি তিন রাজ্যে বিজেপির হার। তাই লোকসভা ভোটে নিজেদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে এটা তারা অনুভব করেছে । যে উত্তরপ্রদেশে একটা সময় মানুষের মুখে হর হর মোদী শোনা যেত এখন তাদের মুখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কারন বুয়া বাবু জোট এবং কংগ্রেসের নীরব সমর্থন উত্তরপ্রদেশে জনমানুষের হাওয়াবদলের ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দিয়েছে । সব মিলিয়ে গোটা দেশে মোদি সরকারের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা ক্রমহ্রাসমান তাই শেষ ওভারে মোদি সরকারের একটাই পথ খোলা তাদেরকে ফ্রন্টফুটে প্রতি বলে ছক্কা হাঁকাতে হবে সুতরাং এই বাজেটে দেশের সাধারণ ভোটারকে প্রলুব্ধ করে আবার একবার সরকারের দিকে টেনে আনার প্রচেষ্টা স্পষ্ট।
    এবার এবার দেখে নেওয়া যাক বাজেটে কি বলছে এবং কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে সাধারণ মানুষ কতটা উপকৃত হলো-

    *পেনশন স্কিমে বড়সড় ঘোষণা হয়েছে এই বছরের বাজেটে। দেশের প্রায় দশ কোটি কর্মীর জন্য মাসে ৩ হাজার টাকা করে পেনশন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে বাজেট ঘোষণায়। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মনধন।

    *কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের শেষ অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত পীযূষ গোয়েল। তিনি ঘোষণা করলেন, শ্রমিকদের বোনাস দ্বিগুণ করা হচ্ছে। সাড়ে তিন হাজার থেকে বেড়ে সাত হাজার টাকা করা হচ্ছে শ্রমিকদের বেতন। ২১ হাজার পর্যন্ত যাদের বেতন, তাঁরাও এই সুবিধা পাবেন।

    *এছাড়াও ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত যাঁদের বেতন, তাঁদের জন্য নয়া পেনশন প্রকল্প চালু করছে সরকার। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত ১০ কোটি শ্রমিক এই সুবিধা পাবেন। একইসঙ্গে শ্রমিক মৃত্যুতে পিএফ দ্বিগুণ করার কথাও ঘোষণা করা হল বাজেটে। গ্র্যাচুইটির সীমা বেড়ে হল ২০ লক্ষ।

    *আশানুরূপভাবে কৃষিক্ষেত্রে একইরকম কল্পতরু মোদী সরকার। ২ হেক্টর পর্যন্ত জমি যাঁদের আছে তাঁদের ৬ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে। ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান বিধি যোজনা।তিন কিস্তিতে এই টাকা দেওয়া হবে। ১২ কোটি কৃষক উপকৃত হবেন ছোট ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য চালু করা এই নতুন যোজনায়।

    *এদিন অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, সরকার রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশন প্রকল্পে ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। যাতে সারা দেশে গো-রক্ষা ভালো করে করা যায়। এবং বাজেট ঘোষণার মাঝেই গোয়েল জানিয়ে দিয়েছেন, গো-সুরক্ষা থেকে সরকার কোনওভাবেই সরছে না।

    *এদিনের সবচেয়ে বড় ঘোষণাটি এসেছে আয়কর নিয়ে। আয়কের ছাড়ের সীমা আড়াই লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করে দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর ফলে কয়েক কোটি কর দাতাকে এর মধ্যে আয় হলে কোনও আয়কর দিতে হবে না।

    *রেলেও বেড়েছে বিনিয়োগ। রেলবাজেটে ২০১৯-২০ সালের জন্য ১ লক্ষ ৫৮ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নে বাড়তি অর্থ ব্যয় করা হবে বলেও জানিয়েছেন।

    *বিপুল পরিমাণ টাকা বরাদ্দ হয়েছে প্রতিরক্ষা খাতেও। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের শেষ অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে দেশের প্রতিরক্ষায় বিশেষ জোর দেওয়া হল। এই খাতে বরাদ্দ করা হল ৩ লক্ষ কোটি টাকা।

    *এদিন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান,২০২২ সালের মধ্যে নতুন অর্থনীতি হওয়ার দিকে ভারত আরও এগিয়ে যাবে। গত পাঁচ বছরে সেই পথেই সরকার এগিয়েছে। ভারতের জিডিপি উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন গোয়েল।