|
---|
সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম:- করোনা আবহে দীর্ঘ ২০ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ,পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতেই রাজ্য সরকারের নির্দেশে খোলা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের করোনার আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে ওঠতেই বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।রাজ্য সরকার সম্প্রতি আংশিক লকডাউন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিধিনিষেধে শিথিলতা করা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া।সেই পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শুক্রবার বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক বিভাগের ডি আই এর নিকট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে পঠন-পাঠন চালু সহ ১৩ দফা দাবিতে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়।
সারা রাজ্য জুড়ে সমিতির উদ্যোগে গত ১৭- ২২ শে জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত এবিষয়ে প্রতিবাদ সপ্তাহ কর্মসূচি পালন করা চলছে সর্বত্র।উল্লেখ্য প্রাথমিক স্তর থেকে পঠন-পাঠন চালু না করার প্রতিবাদে ‘চলো স্কুলে পড়াই’ কর্মসূচি গ্রহণ করেন সমিতি।সেই মোতাবেক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে বীরভূমে সমিতির সংগঠনের সদস্যরাও প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুলের বাইরে পোড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সংগঠন সূত্রে জানা যায়।
এদিন বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদিকা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার স্কুল খোলার পক্ষেই রায় দিচ্ছেন, তবুও রাজ্য সরকার স্কুল খোলার ব্যাপারে কোনো ভূমিকা নিচ্ছেন না, অথচ অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে মেলা, খেলা,নির্বাচন ইত্যাদি সমস্ত কিছুই চলছে স্বাভাবিক ভাবেই। তিনি অন্যান্য সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান যে, যতদিন পর্যন্ত প্রাথমিকে পঠন-পাঠন চালু না হয়, ততদিন নিজের নিজের এলাকায় প্রাথমিকের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে স্কুলের বাইরে,কারো উঠোনে কিম্বা গাছতলায় বসেই পোড়াশোনার কাজ চালিয়ে যান।