|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা , নতুন গতি, মেদিনীপুর: বহুগুণীজনের উপস্থিতেতে অনুষ্ঠিত হলো এডেকেশন ফেস্ট ২০২১। মেদিনীপুরের অগ্রণী শিক্ষা সহায়ক সংস্থা ফিউচার কেয়ারের উদ্যোগে বহুবিধ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো এডুকেশন ফেস্ট-২০২১। অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান সংস্থার কর্ণাধার প্রবীর পাল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রেক্ষাগৃহ প্রদ্যুৎ স্মৃতি সদনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক মায়াধীশনন্দজী মহারাজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা রাহুল ব্যানার্জী।সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড.অমল ভূঞ্যা, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুজয় হাজরা, সমাজসেবী বিশ্বনাথ পান্ডব প্রমুখ। এদিন দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের তিন জন বিশিষ্ট শিক্ষককে “গুরুসম্মান” পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
গুরুসম্মান পান পশ্চিম মেদিনীপুরের মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের কৃতি প্রধান শিক্ষক ড.প্রসূন কুমার পড়িয়া, পূর্ব মেদিনীপুরের বহিচাড় বিপিন শিক্ষা নিকেতনের কৃতি শিক্ষক ড.মৌসম মজুমদার ও ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া কে সি এম হাইস্কুলের কৃতি সহকারী প্রধান শিক্ষক সুব্রত মহাপাত্র। লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট “গুরুসম্মান” পুরস্কারে ভূষিত হন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শতবর্ষ প্রাচীন বিদ্যালয় বেলদা গঙ্গাধর একাডেমীর প্রাক্তন কৃতি প্রধান শিক্ষক ননীগোপাল শীট। মরোনোত্তর গুরুসম্মান পুরস্কার উৎসর্গ করা করা হয় প্রয়াত চারজন শিক্ষক যথাক্রমে মধুসূদন গাঁতাইত, আশিষ কর, সৌম্যকান্তি সরকার ও রাজীব দাসের স্মৃতির উদ্দেশ্যে। প্রায় একশো জন কৃতি প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষককে “শিক্ষক” সম্মানে সম্মানিত করা হয়।বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতি ১৯ জন ছাত্র-ছাত্রীকে ছাত্রসম্মানে সম্মানিত করা হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে ৯২ জন শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ ও ২১১ জন ছাত্র ছাত্রীকে শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সংস্থা আয়োজিত অনলাইন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সফল প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হয়। সম্মানিত করা হয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিচারকদের। ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও। অনুষ্ঠানকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি সংস্থার সেন্টার ইন চার্জ মৃত্যূঞ্জয় সামন্ত সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে চলাকালীন মঞ্চে রঙ তুলির সাহায্যে সুন্দর ছবি ফুটিয়ে তোলেন শিক্ষক রুহুল আমিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাচিক শিল্পী শুভদীপ বসু ও শ্রীজিতা ঘোষ।