‘শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড’, সব চললেও স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ কেন ? প্রশ্ন এসআইও’র

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: বিগত বছরের মার্চ মাস থেকে করোনা আবহে শিক্ষাঙ্গন বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনার প্রকোপ কমতে থাকায় অন্যান্য সমস্ত প্রকার জমায়েত চললেও, বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই অবিলম্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিদ্যালয় খোলার দাবি করলো স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া, পশ্চিমবঙ্গ শাখা। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সাবির আহমেদ বলেন, রাজ্য সরকারের ট্যাব দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই, কিন্তু সমস্ত পড়ুয়াদের পড়াশোনা অনলাইনে সম্ভব নয়। উল্লেখ্য যে, সদ্য প্রকাশিত জাতীয় নমুনা সমীক্ষা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ১৬.৫% পরিবারের ইন্টারনেটের সুবিধা রয়েছে এবং মাত্র ১০.৭% পরিবারে কম্পিউটার আছে। ২০১৭-১৮ সালের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ‘মিশন অন্তোদ্যয়’ সমীক্ষা অনুযায়ী মাত্র ৪৭% বাড়িতে ১২ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকে। অন্যদিকে করোনা কালে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকার ফলে স্কুলছুট ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। সাবির আহমেদ স্কুলছুট নিয়ন্ত্রণে আকর্ষণীয় ও উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায়। যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষাঙ্গনে পঠনপাঠন শুরু করার জন্য এক প্রচারাভিযানের সূচনা করে তিনি বলেন, “এই অভিযানে আমরা বিদ্যালয় খোলার পাশাপাশি পড়ুয়া ও অভিভাবকদেরও সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছি। সারা দেশে করোনা আবহে কমর্হীন হওয়া মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি কর্মসংস্থানের উপর জোরালো দাবি তোলেন। রাজ্য সভাপতি সাবির আহমেদ স্কুল খোলাসহ শিক্ষা বিষয়ক সমস্যার সমাধানে একগুচ্ছ দাবি পেশ করেন।

    সংগঠনের দাবি সমূহঃ
    ১)শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, তাই অবিলম্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিদ্যালয় খুলতে হবে। ২)এসএসসি, এমএসসি এবং প্রাইমারীতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সাথে অবিলম্বে সম্পন্ন করতে হবে। ৩)মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। ৪)কলকাতা ইউনানি মেডিক্যাল কলেজ সরকারি আওতাভুক্ত করার জন্য ২০১০ সালে পাস হওয়া বিল কার্যকরী করতে হবে। ৫)কলেজ অধ্যাপকদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ রূপে ইউজিসি গাইড লাইন মানতে হবে। ৬) স্কুলছুট নিয়ন্ত্রণে সরকারকে গঠনমূলক পরিকল্পনা ও প্রকল্প তৈরি করতে হবে।