মুগবসানে খুশীর ঈদ উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর: ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ/তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।/ তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ/দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ/ ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।’

    শুভেচ্ছা জানান কেশপুর থানার ওসি অঞ্জনী কুমার তেওয়ারী

    ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দুটো সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদুল ফিতর। ধর্মীয় পরিভাষায় একে ‍ইয়াওমুল জায়েজ‍ অর্থাৎ পুরস্কারের দিবস হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনার পর ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনসহ খুব আনন্দের সাথে পালন করে থাকে। হিজরি বর্ষপঞ্জী অনুসারে রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদুল ফিতর উৎসব পালন করা হয়।
    রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানের অবসানে নতুন চাঁদ দেখামাত্র ছোট-বড়, ধনী-গরিব, প্রতিটি মুসলমানের হৃদয় আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে। চার দিকে ধ্বনিত হয় ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’।

    গোটা দেশে আজ ঈদ পালন হলো। কেশপুরের বিভিন্ন গ্রামের সাথে মুগবসান গ্রামেও ঈদ উদযাপন হলো জাকজমকপূর্ণ ভাবে। এদিন মুগবসান ঈদগা ময়দানে মুগবসান গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের সমাগম হয়। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য এক সাথে নামাজ আদায় করতে ছেলে-বৃদ্ধ সবাই শামিল হয় মুগবসানের বিশাল ঈদগাহ ময়দানে। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলি করলেন একে অপরের সাথে।

    ঈদুল ফিতরের জামাতের ইমাম সেখ আতিকুর রহমান
    বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম জাহানের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করলেন।তিনি জানান, সকাল সাড়ে সাতটার সময় ঈদের জামাত হয়। এটাই মুগবসানের ঐতিহ্য যে গোটা গ্রামের একটাই ঈদগা ময়দানে ঈদের নামাজ হয়। এদিন ঈদের নামাজ শুরুর আগে কেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অঞ্জনি কুমার তেওয়ারী ইমাম সাহেব সেখ আতিকুর রহমান সহ সমস্ত গ্রামবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা কার্ডও তিনি ইমাম আতিকুর রহমানের হাতে তুলে দেন