|
---|
সংবাদদাতা : সোমবার, হুগলির বৈদ্যবাটি চৌমাথা মুসলিম পাড়া জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ পাঠ করে,সুভেচ্ছা জানায় রাজ্যবাসী,দেশ ও দেশের বাইরে সকল কে সেক্রেটারি মোঃ সায়েম আলি। পাশাপাশি অলবেঙ্গল মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি তথা ফুরফুরা শরীফের ভূমিপুত্র হাফেজ মাওলানা আবু আফজাল জিন্না সাহেব ঈদুল আযহার নামাজ পাঠ করে দেশবাসীর জন্য শান্তি কামনা করেন।হজরত ইব্রাহিম ( আঃ) আলাইহিসালাতো সালাম এঁর কুরবানী সে দিন ছিল নিজ পুত্র হজরত ইসমাইল (আঃ) আলাইহিস সালাতো সালাম এঁর উপর। সেদিন তাঁর ছেলের পরিবর্তে একটা জান্নাতি দুম্বা কুরবানী হয়েছিল।মহান স্রষ্টার সেদিনের সেই বানি আজো বহোমান। কুরবানীর পশু তথা জবেহকৃত পশুর রক্ত, মাংস, হাড্ডি আল্লাহ নিকট যাবেনা,যাবে কুরবানীদাতার তাকওয়া,অন্তরের নিয়েত। মূলত কুরবানীর অর্থ হল,ত্যাগ মনের পবিত্রতা। উদ্দেশ্য , আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের। মাংস,গোস্ত খাওয়ার উদ্দেশ্য নয়। বলা যেতে পারে পশুকে জবেহ করার আগে মনের পশুত্বকে জবেহ করতে হবে।বৈধ উপার্জন অর্থ থেকে এই কুরবানী করা আবশ্যিক। আমি বিশেষতঃ তরুন যুবদের বলব, জবেহকৃত পশুর ছবি,বা রক্ত মাখা শরিরের ছবি ইত্যাদি কোনরকম ভাবে সোস্যাল মিডিয়া তে ছারবেন না।এটার কারনে কেউ আঘাত পেতে পারে সেটা কাম্য নয়। আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার আনন্দ অপরের জন্য নিরানন্দ না হয়। আমি এও লক্ষ্য করেছি, বিগত কয়েক বছর যাবৎ পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। প্রত্যেক থানার ওসি সেই এলাকার সম্মানিয় ইমাম সাহেব ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মানুষ জনকে ডেকে বিশেষ আলোচনা বা মিটিং করে স্পর্শকাতর বিষয়ে অবগত করেন।যাতে করে কোনো রকম অশান্তির বাতাবরণ তৈরি না হয়।তাই বাংলার প্রশাসন কে সাধুবাদ জানাবো। বলাবাহুল্য ঈদ,বকরাঈদ,মোহররম মাসের আশূরার দিন, দোলযাত্রা ইত্যাদি বিষয়ে, সকল ধর্মের মানুষ কে নিয়ে একসাথে সব কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন, । কারন কেউ কোনো রকম ছোট্ট একটা বিষয় থেকে বড়সড়ধরনের কিছু অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটিয়ে ফেলে।তাই অলবেঙ্গল মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে সকলকে বলব, ধর্মীয় বিধান মেনে চলুন ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। কামনা করি সকলে ভালোভাবে এই উৎসবের করনিয় কাজগুলো পালন করুক।সকলে ভালো থাকুন এই দোয়ার মাধ্যমে প্রার্থনার কাজ সমাপ্ত করা হয়।