সিনির উদ্যোগে পালিত হলো পরিবেশ দিবস

বাবলু হাসান লস্কর সুন্দরবন দক্ষিণ ২৪ পরগনা:পরিবেশ দিবসে গাছ না লাগানোর আহ্বান।সিনির উদ্যোগে পালিত হলো পরিবেশ দিবস কলকাতা, ৫ই জুন:পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের দার্জিলিং থেকে সুদূর দক্ষিণের সুন্দরবন পর্যন্ত শিশু এবং কিশোর কিশোরীদের নিয়ে পালিত হল বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩, উদ্যোক্তা বিগত পাঁচ দশক ধরে শিশু বান্ধব সমাজ গড়ার লক্ষে কাজ করে চলা চাইল্ড ইন নিড ইনস্টিটিউট- সিনি ।

    পৃথিবীকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই ভূমিকা রয়েছে। মূলত আগামী প্রজন্ম অর্থাৎ শিশু এবং কিশোর কিশোরীদের পরিবেশ ভাবনায় দীক্ষিত করার লক্ষ্যেই সিনির  বিশেষ অভিযান। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই জুন জাতিসংঘের প্রথম মানবিক পরিবেশ কনফারেন্স শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই প্রতি বৎসর এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি প্রথম পালিত হয় ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে। এই বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল ভাবনা ছিল, “সলিউশন টু প্লাস্টিক পলিউশন” অর্থাৎ প্লাস্টিকের হাত থেকে কীভাবে আমরা আমাদের ভালোবাসার বিশ্বকে রক্ষা করতে পারি! ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নাচ, গান, পথ নাটক এবং বিভিন্ন সৃজনশীল পদ্ধতিতে তাদের কচি মনের পরিবেশবান্ধব ভাবনাগুলি তুলে ধরে। সুন্দরবনে আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩ এর একটি অনুষ্ঠানে, কুলতলীর ‘চাইল্ড পার্লামেন্টে’র মুখ্যমন্ত্রী, ১৪ বছরের সূর্য জানায়, “পরিবেশ বাঁচানোর জন্য বড়দের গাছ লাগানোর কোন দরকার নেই। বেশিরভাগ জায়গাতেই বড়রা গাছ কেটে বাড়ি বানানো বা বাদাবন ধ্বংস করে ফিশারি বা মাছ চাষের ভেড়ি বানাতে বেশি উৎসাহী”। ক্যাম্পেইনের উদ্যোক্তা সিনির ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অফিসার সুজয় রায় জানান, ” পৃথিবী শুধুমাত্র মানুষের জন্য নয়।যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন পশু পাখি বা প্রকৃতি নিজেই নিজেকে সবুজ করে সাজিয়ে নিয়েছে। প্রকৃতি জানে কোন অঞ্চলে কোন গাছ বেড়ে উঠলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে। গাছ কাটা বন্ধ হলে প্রকৃতি নিজেই নিজের ব্যবস্থা করে নেবে। বরং প্লাস্টিকের ব্যবহার যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে পারলে গাছ লাগানোর চেয়ে অনেক বেশি কাজ দেবে।

    সিনির সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের প্রাক্কালে, সংস্থার চিফ অফ প্রোগ্রামস- মেঘেন্দ্র ব্যানার্জির নেতৃত্বে ‘হোয়াট চিলড্রেন ওয়ান্ট’ নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে কিশোর কিশোরীরা আবহাওয়ার অবাঞ্ছিত পরিবর্তন বন্ধ করতে তাদের মতামত জানাতে শুরু করেছে। তাঁর আশা আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গের শিশু ও কিশোর কিশোরীদের এই ছোট ছোট ভাবনাগুলিই, পৃথিবীকে রক্ষা করতে এক বড় দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।