|
---|
আলো ইসলামঃ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্তা ও বিশিষ্ট ঐতিহাসিক গোলাম আহমাদ মোর্তজা প্রতিষ্ঠিত মামূন ন্যাশনাল স্কুলের মেমারির বালক ও শ্যামসুন্দরপুরের বালিকা শাখায় ইয়াতীম – অসহায় ছাত্রছাত্রীদের আজ থেকে ভর্তি নেওয়া শুরু হয়েছে। ছুটির দিন বাদে চলবে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তি নেওয়া শুরু হয়েছে, চতুর্থ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত। মামূন ন্যাশনাল স্কুলের সম্পাদক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কাজী মুহাম্মদ ইয়াসীন, শিক্ষাপ্রেমী – সমাজ সচেতন মানুষদের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, পিতৃহারা, মাতৃহারা এবং অসহায় বালক বালিকাদের আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ করে দিন।
বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ইয়াসীন সাহেব জানান, চতুর্থ শ্রেণিতে সমস্ত ইয়াতীম সন্তানেরা থাকবে মহিলা শিক্ষিকা ও সহায়িকাদের তত্ত্বাবধানে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে তাদের মেমারির বালক বা শ্যামসুন্দরপুরের বালিকা শাখায় স্থান দেওয়া হবে। সম্পূর্ণ বিনা খরচে তারা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেই পড়াশোনা করতে পারবে। মামূন ন্যাশনাল স্কুলের দরদী অভিভাবক বলেন, এই সব ছেলেমেয়েরা প্রতিষ্ঠা লাভ করলে একটা সামাজিক দৃষ্টান্ত তৈরি হবে। যারফলে সমাজে হীনমন্যতা দূর হবে। তবে আমাদের শিক্ষক মহাশয়দের তাদেরকে বোঝাতে হবে, ভাঙাগড়া থেকে তুমি এই পর্যায়ে এসেছো। সমাজে তোমার দায়িত্ব অনেক বেশি। অর্থাৎ একটা আদর্শবোধ তাদের মধ্যে তৈরি করতে হবে। প্রাক্তন এই শিক্ষক মহাশয় বলেন, কাজটি সহজ নয়। প্রায় চার দশকের শিক্ষকতা জীবনে অত্যন্ত সতর্ক থাকার পরও এই দায়িত্ব কতটা পালন করতে পেরেছি জানিনা। আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। তিনি বলেন, ইয়াতীম অসহায় বালক বালিকারা জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করলে একটা গভীর সামাজিক প্রভাব দেখা যাবে। মানুষের মনে আস্থা তৈরি হবে, আমার ছেলেটা মানুষ হবে!
প্রাক্তন শিক্ষক ও শিক্ষাব্রতী কাজী মুহাম্মদ ইয়াসীন সাহেব বলেন, আবাসিক শিক্ষা আন্দোলনের ফলে গত কুড়ি বছরে শিক্ষার হার বেড়েছে। একটা সময় পিতা-মাতার জীবিকা নির্বাহের কাজে বালক-বালিকাদের সহযোগিতার মানসিকতা ছিল। পড়াশোনা করার পরিবর্তে তারা এভাবে সাহায্য করাটাকেই বড় বলে মনে করত। কিন্তু এখন মানসিকতার বদল ঘটছে। আবাসিক শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে ইয়াতীম অসহায় ছাত্রছাত্রীদের একটা অংশ সুযোগ পাচ্ছে। ইয়াসীন সাহেব বলেন, মাস্টার মশাই, ঈমাম সাহেব, যারা রাজনীতি করেন তাঁরা যদি তাদের আত্মীয় স্বজনদের বুঝিয়ে এমন ছেলেমেয়েদের পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেন, তাহলে আরও উপকৃত হবে সমাজ।
জানা যায়, পতাকা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার ও বাংলায় স্ব-উদ্যোগে আবাসিক শিক্ষা আন্দোলনের পুরোধা মোস্তাক হোসেন সাহেবের জিডি চ্যারিটেবল সোসাইটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্কুল মামূন ন্যাশনাল স্কুলে ইয়াতীম অসহায় ছাত্রছাত্রী এখনও রয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ছবি : মুনির রসুল নাজের