সিবিআইয়ের হাতে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে যে গরু পাচার হতো তা নিয়ন্ত্রণ করতেন অনুব্রত মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা : বীরভূমে বসেই মুর্শিদাবাদে গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করা হতো। এই পাচার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকতেন সায়গল। এবার সিবিআইয়ের হাতে উঠে এল এমনই বিস্ফোরক তথ্য। মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে যে গরু পাচার হতো তা নিয়ন্ত্রণ করতেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকতেন না। সেখানে অনুব্রতর হয়ে পাচার কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। আর এই কাণ্ডের মূলচক্রী এনামুল হকের হয়ে থাকতেন ইলামবাজারে গরু হাটের দালাল আবদুল লতিফ। এই দু’জনই বীরভূম–মুর্শিদাবাদে গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে সূত্রের খবর।ঠিক কী তথ্য মিলেছে! সিবিআই সূত্রের খবর সায়গল হোসেনের থেকে পাওয়া তথ্যে সিবিআই জানতে পেরেছে, সায়গলের মা লতিকা খাতুনের নামে একটি সম্পত্তি দু’‌জন বিক্রেতার হাত বদল করে কেনা হয়েছে। আর যে দামে সেটা কেনা হয়েছে তার থেকে অনেক কম দাম দেখানো হয়। বিনিময়ে ইলামবাজার হাট থেকে প্রচুর সংখ্যায় গরু নেয় এনামুল। শেখ আবদুল লতিফ জঙ্গিপুর কাস্টমস অফিসে ১৬ বার নিলামে অংশ নেয়। সেই গরুও পাচার করা হয়েছিল বাংলাদেশে। পাচারের তথ্য লুকোতে সাহায্য করতেন লতিফেরই ঘনিষ্ঠ আরও এক ব্যবসায়ী। তার নাম মন্টু মল্লিক। এই নাম আগেই জড়িয়েছে মামলায়।আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই মন্টু মল্লিক এনামূলের নামে জাল রশিদ তৈরি করে দিত। জাল বিল দিয়ে দেখানো হতো স্থানীয় হাটে বিক্রি করা হয়েছে গরু। গোটা অপারেশনটি অত্যন্ত গোপনে করা হতো। এই চক্র শুধু দুই–তিনজনের ছিল না। কারণ এটি একটি আন্তর্জাতিক গরু পাচার চক্র বলেই জানতে পেরেছে সিবিআই অফিসাররা। ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের ১৭ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। সেটা নিয়ে ইডি তদন্তে নামতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।অনুব্রতর এখন কী খবর আজ বৃহস্পতিবার আবার কম্যান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা অনুব্রত মণ্ডলের। আর ২০ অগস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে হাজিরা দিতে হবে আসানসোল স্পেশাল সিবিআই আদালতে। সেখানে সিবিআই এই ১৭ কোটির ফিক্সড ডিপোজিটের নথি পেশ করবে। আজ বেআইনি পথে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তাই আজ সুকন্যার হাজিরা দিতে কলকাতায় এসেছেন। যদিও অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, সুকনা মণ্ডলের কাছে আছে টেট পাশ করার নথি।