|
---|
খান আরশাদ, বীরভূম:
পাঁচ বছরেও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে টাকা পৌঁছালো না গ্রাহকের কাছে।
পাঁচ বছর আগে টাকা পাঠিয়েও এখনো পর্যন্ত টাকা পেলেন না এক গ্রাহক। রাজনগরের আড়ালি গ্রামের বাসিন্দা আফরোজ হোসেন পাঁচ বছর আগে ৫ই জুলাই ২০১৯ এ রাজনগর সাব-পোস্ট অফিসের মাধ্যমে EMO করে ২০০০ টাকা পুরুলিয়ায় তার স্ত্রীকে পাঠান। আফরোজ হোসেন জানান তার স্ত্রী যখন তার শ্বশুরবাড়ি পুরুলিয়ায় যান, তখন তিনি মাঝেমধ্যে টাকা পাঠান এবং প্রতিবারই দুই-একদিনের মধ্যেই তার স্ত্রী সেই টাকা হাতে পেয়ে যান। কিন্তু সেবার টাকা পাঠানোর বেশ কয়েকদিন পরেও তার স্ত্রী তাকে ফোন করে জানান তিনি টাকা পাননি। এরপর আফরোজ হোসেন রাজনগর সাবপোস্ট অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানান। সে সময়ের কর্তব্যরত পোস্টমাস্টার আফরোজ হোসেনকে সিউড়ি পোস্ট অফিসের সুপারকে বিষয়টি জানাতে বলেন। আফরোজ হোসেন সিউড়ি পোস্ট অফিসের সুপারকে বিষয়টি জানালে সিউড়ি সুপার পুরুলিয়ার পোস্ট অফিসের সুপারকে বিষয়টি জানান। তার প্রতিলিপিও আফরোজ হোসেন এর কাছে আসে। কিন্তু এতেও কোন সুরাহা মেলেনি। গত পাঁচ বছরে রাজনগর সাব-পোস্ট অফিসের বেশ কয়েকজন পোস্টমাস্টার পরিবর্তন হয়েছেন। বর্তমান পোস্টমাস্টারকেও বিষয়টি জানান আফরোজ হোসেন। গত পাঁচ বছর ধরে বারবার পোস্ট অফিসে গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার পরও কোন সূরাহা মেলেনি।
রাজনগর সাব-পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার সাইদুল হক জানান আফরোজ হোসেন এখানে এসে আমাদের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু টেকনিক্যাল কোন কারণে হয়তো সেটা পৌঁছায়নি। বীরভূম থেকে টাকা সেন্ড হয়ে গেছে। টেকনিক্যাল কোন কারনের জন্য হয়তো আটকে থেকে গেছে এবং পুরুলিয়া থেকে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো আপডেট আসেনি। টাকা না পৌঁছালেও টাকা রিটার্ন আসবে এমনটাই জানালেন পোস্টমাস্টার।
কিন্তু প্রশ্ন টাকা না পৌঁছালেও, পাঁচ বছরের মধ্যেও সে টাকা আফরোজ হোসেনের কাছে কেন রিটার্ন এলোনা ?