|
---|
মহঃ মফিজুর রহমান, নতুন গতি: ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের আগে আজ রবিবার ব্রিগেডে কংগ্রেস – বামফ্রন্ট ও আইএসএফ এর মহা সমাবেশ দেখলো বাংলা। জনসমুদ্রের সাক্ষী থাকলো ব্রিগেড ময়দান। আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে কংগ্রেস – বামফ্রন্ট ও আইএসএফ জোটের ব্রিগেড সমাবেশে অভাবনীয় জনসমুদ্রে চিন্তার ভাঁজ রাজ্যের শাসকদলের কপালে। অন্যদিকে এই বিশাল জনসমুদ্র দেখে দিশেহারা ২০২১ এ বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বলে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করা গেরুয়া শিবিরও।
কংগ্রেস – বামফ্রন্ট ও আইএসএফ জোটের বিধানসভা ভোটের আগে এটাই ছিল জোড়াফুল এবং পদ্মফুল বিরোধী সবচেয়ে বড় প্রচার সভা। ব্রিগেড মঞ্চ থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে উৎখাতের ডাক দেন মহাজোটের নেতা নেত্রীরা। বক্তাদের হুংকারে অক্সিজেন পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত হন জোটের কর্মী সমর্থকরা। বক্তা হিসেবে বাংলার জননেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নাম ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন কংগ্রেসের অগণিত কর্মী সমর্থকরা। সুবক্তা অধীরবাবুর গরম গরম বক্তব্য শুনে জননেতাকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানান তারা। কিন্তু হঠাৎ এই উচ্ছ্বাসে ছন্দপতন ঘটে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্যের মাঝখানে মঞ্চে উপস্থিত হন আব্বাস সিদ্দিকী। আইএসএফ নেতাকে স্বাগত জানাতে বক্তব্যের মাঝখানে অধীরবাবুকে থামান সিপিএম নেতা মহঃ সেলিম।
সূত্রের দাবি, এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। জোট শরিক বামফ্রন্টের এই আচরণে চরম ক্ষুব্ধ হন কংগ্রেসের নীচুস্তরের কর্মী সমর্থকরাও। পরে মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় জোট শরিক কংগ্রেসকেই ‘হুমকি’ দিয়ে বসেন আব্বাস সিদ্দিকী। সূত্রের দাবি, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আব্বাস সিদ্দিকীর ‘হুমকি’ এবং ঝাঁঝালো বক্তব্যে ক্ষুব্ধ দলের নীচুস্তরের কর্মী সমর্থকরা। এর জন্যে আব্বাসকে নিয়ে বামেদের অতি বাড়াবাড়িকেই দায়ী করছেন কংগ্রেসের একাংশ রাজনীতির ‘র’ বোঝেন না এমন একজন কংগ্রেসকে ‘হুমকি’ দেওয়ার সাহস পান কোথা থেকে ? ঘটনার পর থেকে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে কংগ্রেসের অন্দরমহলে।