রেলে চাকরির নামে টাকা নিয়ে জাল নিয়োগপত্র, গ্রেফতার বাংলার বিজেপি নেতা

রেলে চাকরির নামে টাকা নিয়ে জাল নিয়োগপত্র, গ্রেফতার বাংলার বিজেপি নেতা

     

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক:পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় রেলে চাকরির নামে প্রতারণার ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার করা হল এক বিজেপি নেতা ও এক কর্মীকে। ওই ঘটনায় আর কারা-কারা যুক্ত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় রেলে চাকরির নাম করে ওই প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সব্যসাচী মণ্ডল নামে এক যুবক।

    পাঁচজনের মধ্যে ভৈরব বন্দ্যোপাধ্যায় ও পূর্ণিমা দে’কে জেরা করে নিউ ব্যারাকপুর থেকে দিবাকর রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    ধৃত দিবাকর উত্তর দমদম কেন্দ্রের উত্তর মণ্ডলের বিজেপির তফশিলি মোর্চার সহ-সভাপতির দায়িত্ব ছিলেন।

    গ্রেফতার বিজেপি নেতা!

    এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রেলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে এবার উত্তর ২৪ পরগনা থেকে এক বিজেপি নেতা ও এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল আউশগ্রামের গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় রেলে চাকরির নাম করে ওই প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সব্যসাচী মণ্ডল নামে এক যুবক। তাঁর অভিযোগ, রেলে চাকরির নাম করে তাঁর থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েও জাল নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় আগেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

    সেই পাঁচজনের মধ্যে ভৈরব বন্দ্যোপাধ্যায় ও পূর্ণিমা দে’কে জেরা করে নিউ ব্যারাকপুর থেকে দিবাকর রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর উত্তর ২৪ পরগনারই বীজপুর থেকে রাজেশ প্রামাণিককে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃত দিবাকর উত্তর দমদম কেন্দ্রের উত্তর মণ্ডলের বিজেপির তফশিলি মোর্চার সহ-সভাপতির দায়িত্ব ছিলেন। যদিও ওই অঞ্চলের বিজেপির তফশিলি মোর্চার সভাপতি অভিষেক বিশ্বাস দিবাকরকে দলের সক্রিয় কর্মী বললেও তাঁর দায়িত্ব নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। এমনকী গ্রেফতার হওয়া রাজেশ প্রামাণিকও বিজেপির সক্রিয় কর্মী বলেই এলাকায় পরিচিত।

    সূত্রের খবর, পুলিশের জেরার কাছে আগে গ্রেফতার হওয়া ভৈরব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চাকরির টাকা তুলে দিবাকর রায়কে দিতেন তিনি। তদন্তে উঠে এসেছে, ভৈরব ও আরও কয়েকজন মিলে গত ৬ মাসে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন দিবাকরকে। তার আগেও চলেছে বিপুল অঙ্কের লেনদেন। সেই টাকার বেশ বড় অংশই রাজেশের মাধ্যমে এক ‘ব্যক্তির’ কাছে পাঠাত দিবাকর। কে সেই ব্যক্তি, তাঁর খোঁজ করছে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে ধৃত দিবাকর ও রাজেশের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    অপরদিকে, রেলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগেই সোমবার পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। আসানসোল পুলিশ লাইন সংলগ্ন বার্নপুর রোডের একটি হোটেল থেকে তাঁদের হয়। ধৃতদের মধ্যে সূর্যনাথ চতুর্বেদী অহমদাবাদের বাসিন্দা। তিনি নিজেকে একটি রাজনৈতিক দলে দেশের উচ্চ পদাধিকারী বলে দাবি করেন। বাকিরা হলেন বাবন মুখোপাধ্যায়, রাজু সাউ, ভিক্কি খান ও বিজয় হেলা। এর মধ্যে বাবন রূপনারায়ণপুরের, বাকিরা আসানসোলের বাসিন্দা।

    আরও পড়ুন: ফের কাঠগড়ায় বিজেপি কর্মী, এবার সরকারি আধিকারিককে মারধরের অভিযোগ!

    ধৃতদের মঙ্গলবার আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক সূর্যনাথকে জেল হেফাজত ও বাকিদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান। ধৃতদের থেকে ওই রাজনৈতিক দলের লেটারহেড-সহ একাধিক প্যাড, ভুয়ো রাবার স্ট্যাম্প, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট সার্টিফিকেট, বিভিন্ন যুবকের নামের রেলে চাকরির আবেদন পত্র ও ৫ লক্ষ টাকার একটি চেক মিলেছে। একজনের নামে ‘নিয়োগপত্র’ও আছে। ধৃতরা জেরায় দোষ কবুল করেছেন বলে পুলিশের দাবি। তাঁদের জিজ্ঞাসা করে বাকিদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।