পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনরত কৃষকরা দিল্লিতে ঢোকার চেষ্টা করলে কৃষক-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র সিংঘু সীমন্ত

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনরত কৃষকরা দিল্লি ঢোকার চেষ্টা করলে কৃষক-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র সিংঘু সীমান্ত। তাঁদের আটকাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে ব্যবহার করা হয় জলকামানও।সংবাদ সূত্রে জানা যায়, এদিন ট্রাক্টরের পাশাপাশি পায়ে হেঁটেও দিল্লি ঢুকতে দেখা গিয়েছে কৃষকদের। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গিয়েছে টিকরি সীমান্তে। এর আগে ৩৭টি শর্ত আরোপ করে আন্দোলনরত কৃষকদের ট্রাক্টর র‍্যালি করার অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ। ঘোষিত রুট দিয়ে দিল্লি ঢুকতে হবে, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শেষ হলে তবেই র‍্যালি বের করা যাবে। আর সেন্ট্রাল দিল্লিতে কোনও জমায়েত করা যাবে না। সেই শর্ত মেনেই কাল রাত আর এদিন সকাল থেকে ট্রাক্টর ঢুকতে শুরু করে দিল্লি।

    কিছু কিছু জায়গায় পথ আটকাতে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে, সেই ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করেন কৃষকরা। মুকারবা চকে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। অপর দিকে,সিঙ্ঘু সীমান্ত দিয়ে দিল্লি প্রবেশ করা কৃষকরা সঞ্জয় গান্ধী ট্রান্সপোর্ট কলোনিতে জমায়েত হলে, হঠাৎ করেই তাঁদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস আর জলকামান ব্যবহার করা হয়। আন্দোলনরত কৃষকরা ১ফেব্রুয়ারি, বাজেট অধিবেশনের দিন এক মেগা র‍্যালির ডাক দিয়েছেন। পায়ে হেঁটে সংসদ ভবন অভিযান করবেন তাঁরা। বাজেট পেশের দিনে কৃষকদের এই প্রতিবাদে সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের ২১ জেলা থেকে প্রায় ৬ হাজার কৃষক মুম্বই জড়ো হয়েছেন কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে, আজাদ ময়দানে সভা করবেন তাঁরা। ২৩-২৬ তারিখ পর্যন্ত আজাদ ময়দানে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে আরও একটি পৃথক সমাবেশ চলছে। সোমবার সেই সমাবেশে যোগ দেন শরদ পাওয়ার। মোদী সরকার কৃষকদের প্রতি অসহিষ্ণু এবং অসংবেদনশীল স্পষ্ট ভাষায় একথা বলেই পাওয়ার কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন