|
---|
ইয়াসমিন খাতুন, বোলপুর: পরিবারের অমতে মেয়ে বিয়ে করেছিলো তিন বছর আগে। বিয়ের পরই স্বামীর সঙ্গে বোলপুরের পাঁচশোয়া গ্রামে চলে আসে হাওড়ার পাঁচলার পানিয়ারা গ্রামের অরুপা ( আসল নাম নয়) । এরই মাঝে কেটে গেছে তিন তিনটে বছর। বাবা পরে বিয়ে মেনে নিলেও মেয়ে বাবার বাড়ীতে যেতে পারে না। বাবা জীবন সর্দার অভিযোগ করেন তার মেয়েকে বাবার বাড়ী যেতে দেওয়া হয় না। বাবা বারবার মেয়েকে নিয়ে যেতে চাওলেও অরুপার স্বামী বাবার বাড়ী যেতে দেয় নি বিভিন্ন কারনে এমনই অভিযোগ মেয়েরও।
পরে অরুপার বাবা দ্বারস্থ হয় বীরভূম জেলা আইনী পরিষেবা কতৃপক্ষের। শনিবার আইনী পরিষেবা কতৃপক্ষের সচিব বিচারক সুর্পনা রায়ের নির্দেশে দুপক্ষকে মধ্যস্থতায় বসেন জেলা আইনী পরিবেষা কতৃপক্ষের আইনী সহায়ক মহিউদ্দীন আহমেদ। দুপক্ষকে নিয়ে আলোচনার পর মেয়েকে নিজ বাড়ী নিয়ে যেতে সক্ষম হন বাবা। জামাইও রাজী হয় তার স্ত্রীকে শশুড় বাড়ী নিয়ে যেতে।
দীর্ঘ তিন বছর পর বাবার বাড়ী যেতে পেরে খুশি অরুপা। ডিএলএসএ এর মধ্যস্থতাকারী মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, মেয়ে কে কাছে না পেয়ে মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন পেশায় দিন মজুর জীবন সর্দার ও তার স্ত্রী। আজ মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে বাবা মায়ের মিল করাতে পেরে ভালো লাগছে। কম বয়সে প্রেম করে বিয়ে করার পর স্বামীর সঙ্গে সংসার করলেও বাবা মায়ের বাড়ী যাবার জন্য অস্থীর হয়ে পড়তো অরুপা। কিন্তু স্বামী ও শশুড় বাড়ীর লোক বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় সাহস করে যেতেও পারতো না মেয়ে অরুপা।