|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেমারি : আবার বিস্ফোরণ ঘটালেন রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। এবার পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। গত ১২ মার্চ রবিবার মেমারি দু’নম্বর ব্লকের সাতগাছিয়ার অন্তর্গত ঝিকড়া এলাকায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন মন্তেশ্বরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর। অভিযোগ, সেখান থেকেই পুলিশের উদ্দেশ্যে হুমকি দেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেমারি দু’নম্বর ব্লকে তৃণমূলের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ওই ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইলের গোষ্ঠীর সঙ্গে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। মন্ত্রীর দাবি, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইলের লোকদের কথা শুনে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কেউ বাজে মন্তব্য করলে তাকে গ্রেপ্তার হতে হয়। অথচ রাজ্যের একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে কেউ গালমন্দ করলে পুলিশ নির্বিকার থাকে।” পুলিশ মজা দেখছে বলেও এদিন মন্তব্য করতে দেখা যায় সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে। তিনি আরও বলেন,”পুলিশকে ঠিক করতে হবে অফিসিয়াল দল কে? পুলিশ ভাবছে উনিও দল, ইনিও দল,পুলিশ নাবালক নাকি? পুলিশকে সাবালক হতে হবে।” এরপরই ব্যবস্থা না নিলে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে গ্রন্থাগারমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ব্যবস্থা না নিলে মেমারি থানার সামনে আন্দোলনে নামবেন বলেও পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এমনকি মেমারি থানা ও সাতগাছিয়া ফাঁড়ির পুলিশকে থানা থেকে বের হতে দেবেন না বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।এদিকে এদিন নাম না করে মেমারি দু’নম্বর ব্লকের প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইলকেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সিদ্দিকুল্লাহর বিরুদ্ধে। নাম না করে তিনি বলেন, “ওই ভদ্রলোক বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না।” মন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যের জেরে রবিবার রাতে মেমারি দুই ব্লকের বারারি গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘটনায় দুই পক্ষের ছ’জন আহত হয়। দুই পক্ষের তরফেই মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। সোমবার তাদের বর্ধমান জেলা আদালতে পাঠানো হয়।