|
---|
জলপাইগুড়ি: ষাঁড়ের তাণ্ডবে জখম জলপাইগুড়ির জনাকয়েক বাসিন্দা। রবিবার দুপুর থেকেই জলপাইগুড়ির বাজার এলাকায় তান্ডব শুরু করে এক প্রকান্ড ষাঁড়। ষাঁড়টিকে বাগে আনতে ডাকা হয় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পরে স্থানীয়দের চেষ্টায় উন্মত্ত ষাঁড়টিকে বেঁধে পাঠানো হয় জলপাইগুড়ির গোশালায়। সেখানে ষাঁড়টির চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জানা গেছে, এই ষাঁড়টি বহুদিন ধরেই ঘুরে বেড়ায় জলপাইগুড়ির বিভিন্ন বাজার এলাকায়। ফলে ষাঁড়টি প্রায় সকলেরই চেনা। কোনদিনই তাকে আক্রমণ করতে দেখা যায়নি সাধারণ পথ চলতি মানুষকে। কিন্তু সেই চেনা ছবি বদলে গেল রবিবার দুপুর থেকেই। আচমকাই ষাঁড়টি গুতোতে শুরু করে পথ চলতি মানুষকে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ষাঁড়ের উপদ্রব। ষাঁড়ের তান্ডবে গুরুতর জখম হন প্রায় ১০ জন শহরের বাসিন্দা। এরপরই ষাঁড়টিকে বাগে আনতে পথে নামে স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ, পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ও বনদফতরকে। স্থানীয়রাই ষাঁড়টিকে ধরে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে ফেলে। পরে পুলিশ ও পরিবেশপ্রেমীদের সহায়তায় ষাঁড়টিকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে পাঠানো হয়েছে জলপাইগুড়ির একটি গোশালায়। চিকিৎসকদের অনুমান ষাঁড়টি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত। গোশালাতেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে ষাঁড়টির।এদিকে এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জলপাইগুড়ি শহর জুড়ে।কেন এই ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি সেটা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে জনমানসে।