শেষপর্যন্ত বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: শেষপর্যন্ত বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর গাড়ির চালকের স্ত্রী।

    কী সেই অভিযোগ? চন্দনার গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুন্ডু গত ১৯ অগাস্ট গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় অভিযোগ করেন খোদ বিধায়কের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, চন্দনা বাউরী প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেছেন কৃষ্ণ কুন্ডুর সঙ্গে। শুধু তাই নয়, তাঁকে গোপনে বিয়েও করেছেন। অভিযোগের তালিকা এখানেই শেষ নয়। রুম্পা কুন্ডুর অভিযাগ, বিধায়ক চন্দনা বাউরী ও কৃষ্ণ তাঁকে হুমিকও দিচ্ছেন।

    ওইসব অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস বিধায়ক চন্দনা বাউরী ও কৃষ্ণ কুন্ডুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ ধারায় বধূ নির্যাতন, ৪৯৮ ধারায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, বিশ্বাসভঙ্গ ও হুমকি দেওয়ার মামলা রুজু করে। সেই মামলার ভিত্তিতেই আজ বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন চন্দনা।

    উল্লেখ্য়, গত ১৯ অগাস্ট একটি খবর তোলপাড় হয় শালতোড়া। রটে যায়, নিজের গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুন্ডুকে মন্দিরে গিয়ে লুকিয়ে বিয়ে করেছেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি থেকে এক ফেসবুক লাইভে চন্দনা বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর উদ্যেশ্যেই এই অপপ্রচার করা হয়েছে।

    শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বিবাহিত। তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে। ওই জল্পনা নিয়ে চন্দনা বলেন, আমাদের একটি পারিবারিক সমস্যা ছিল। তার পরেই এই জল্পনার তৈরি হয়। সবটাই বিরোধীদের চক্রান্ত। আগেই আমার নামে কুত্সা করে পোস্টার দেওয়া হয়েছিল।