|
---|
খান আরশাদ, বীরভূম:
হাজার জল্পনা শেষে অবশেষে একই মঞ্চে দেখা গেল কেষ্ট কাজলকে। বোলপুরে হস্তশিল্প মেলা উদ্বোধন উপলক্ষে অন্যান্যদের পাশাপাশি উপস্থিত হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট এবং ফায়েজুল হক ওরফে কাজল শেখ।
অনুব্রত মণ্ডল জেল থেকে ফেরত আসার পর তাদেরকে কোন মঞ্চেই একসাথে দেখা যায়নি। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে , কিন্তু কেষ্ট কাজলকে কোন মঞ্চেই দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে দুজনেই নিজ নিজ পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে এই দুই নেতার অন্তর্দ্বন্দ্বের চর্চার শেষ নেই।
জেলার রাশ কার হাতে? এ নিয়েই তোলপাড় জেলা তথা রাজ্য রাজনীতি।
দলের মধ্যেও কেষ্ট অনুগামী ও কাজল অনুগামীরা দুটি পক্ষ নিজেদেরই প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময়ে সেটা প্রকাশও পেয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই পক্ষই নিজের নিজের প্রিয় নেতার বিষয়ে পোস্ট করেছেন। কেষ্ট অনুরাগীরা কাজল শেখের অনুষ্ঠানের পোস্ট করা থেকে যেমন এড়িয়ে গেছেন, তেমনি কাজল শেখের অনুগামীরা কেষ্ট মন্ডলের অনুষ্ঠানের পোষ্ট করা থেকে এড়িয়ে গেছেন।
জেলার রাজ্য রাজনীতিতে কার ভূমিকা বেশি? কে বড় নেতা সেটা প্রমাণই করতেই যেনো উভয়পক্ষই লেগে পড়েছে। কেষ্ট কাজলের একই মঞ্চে না থাকাও কর্মীদের ভেতর ভেতর অন্তর্দন্দ যেন বেড়েই চলছিল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার বোলপুরে হস্ত শিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে উপস্থিত হলেন কেষ্ট-কাজল।
অনুব্রত মণ্ডলকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানগুলিতে যেতে দেখা যায়নি। কারণ তিনি কোন সরকারি পদে ছিলেন না। এবার তাকে SRDA ( রাজ্য গ্রাম উন্নয়ন পর্ষদ সংস্থা) এর চেয়ারম্যান করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেও অনুব্রত মণ্ডল SRDA এর চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপরই বোলপুরে হস্ত শিল্প মেলার উদ্বোধন করলেন অনুব্রত মণ্ডলই।
স্বমহিমায় ফের মধ্যমণি হিসাবে অনুব্রত মণ্ডলকে দেখা গেল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের সময় কেষ্ট কাজল উভয়কেই হাতে হাত রেখে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করতেও দেখা গেল।
এবার থেকে হয়তো সব অনুষ্ঠান এবং মঞ্চে কেষ্ট কাজলকে একসাথেই দেখা যাবে বলে ধারণা।
দুই নেতা এক হলে, তাঁদের অনুগামীদের মধ্যেও অন্তর্দ্বন্দ্ব মিটবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।