|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: লাগাতার বিক্ষোভের জেরে আজ কৃষক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কৃষি মন্ত্রী। কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের প্রশ্নের জবাব দিতে তৈরি সরকার। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে সোমবার এমনই বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কৃষকরা অনড়। তাদের সাফ দাবি, কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। এই নিয়ে কোনও দর-কষাকষি চলবে না। এই আইনের বিরোধিতা করে শিরোমনি অকালি দল এন ডি এ-এর সঙ্গ ত্যাগ করেছে। আর এক শরিক দল রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় লোক তান্ত্রিক পার্টিও জানিয়েছে, কেন্দ্র কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় না বসলে জোটে থাকার বিষয়টি তারা পুনর্বিবেচনা করবে। হরিয়ানার বিজেপির শরিক দুষ্যন্ত চৌটালাও চাপ বাড়িয়েছেন। এই অবস্থায় কৃষক সংগঠনগুলির আলোচনার টেবিলে আনার জন্য উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। ৩ ডিসেম্বর দুপক্ষের আলোচনার কথা ছিল। যদিও পরিস্থিতির চাপে আজ দুপুর ১টায় কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
রবিবার রাতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর সোমবার সকালে তোমরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অমিত শাহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্দোলনের তীব্রতা কমবে বৈকি, বরং আরও বাড়বে। কারণ কৃষকরা শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় রাজি না। দ্বিতীয়তঃ কৃষক সংগঠনগুলির জানিয়েছে অমৃতসর অঞ্চলের কৃষকরা এতোদিন আসেনি, মঙ্গলবার তারাও আন্দোলনে সামিল হবেন। এর পাশাপাশি আজ এই প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার কথা ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ এর।
সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীদল গুলিও। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ” যখনই মোদি- শাহ কৃষকদের নিয়ে কিছু বলতে চাইবেন, তখনই মনে করাবো ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বলেছিল সরকার। বর্তমান হারে চললে ২০২৮ সালের আগে এই আয় দ্বিগুণ হবে না। দিদির বাংলায় গত ৯ বছরে কৃষকদের আয় তিনগুণ হয়ে গিয়েছে। আশ্বাস নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কাজ করে দেখিয়েছে।”
এই পরিস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ কৃষক সংগঠনের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর আলোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।