শেষমেষ সন্ত্রাসবিরােধী চার্জশিট দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের বিরুদ্ধে

শেষমেষ সন্ত্রাসবিরােধী চার্জশিট দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের বিরুদ্ধে

     

     

     

     

    নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : গত বছর হাথরসে একটি দলিত মেয়েকে গণধর্ষণ এবং পুড়িয়ে মারার ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। সেই সময় খবর সংগ্রহ করতে দিল্লি থেকে রওনা হন কাপ্পান। সঙ্গে ছিলেন আরও সাত সাংবাদিক। পথেই তাঁদের গ্রেফতার করে যোগী আদিত্যনাথের পুলিস। সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরির অভিযােগে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারাও দেওয়া হয়। ধৃতদের তরফে দাবি করা হয়, গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতেই হাথরস যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিস জোর গলায় জানায়, জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যেই যাচ্ছিল ওই দলটি।

    এরপর কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরােধী দলগুলি সরব হয়ে ওঠে। কিন্তু কাপ্পান ও তাঁর সহযােগীরা বারবার জামিনের অনুমতি চেয়েও ছাড়া পাননি। উল্টে এবার চার্জশিটের নয়া গেরােয় আটকে পড়লেন তাঁরা।

     

    মধুবন দত্ত চতুর্বেদী বলেন, ‘এখনও চার্জশিটের কপি দেখিনি। প্রায় ৫ হাজার পাতার নির্দেশ রয়েছে বলে শুনেছি। কপি সরাসরি হাতে পেলে সেটা ভালভাবে পড়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বালি চুরি আর নয় এর আগে হাথরস-কাণ্ডে বারবার বিতর্কের মুখে পড়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ধর্ষণের অভিযােগ নিতে দেরি করা কিংবা মৃত্যুর পর ধর্ষিতার দেহ আগেভাগে পুড়িয়ে দেওয়ার মতাে একাধিক অভিযােগের আঙুল উঠেছে। সাংবাদিকদের খবর সংগ্রহে বাধা দেওয়ার ঘটনা সেই বিতর্কের আঁচ অনেকটাই বাড়িয়েছে। যদিও কাপ্পানদের বিরুদ্ধে বরাবর অনড় মনোভাব দেখিয়েছে যােগীর পুলিশ। গত বছর ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে তাদের তরফে এও জানানাে হয় যে, কাপ্পান কেরলের যে দৈনিকে কাজ করতেন, সেটা দু’বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই সাংবাদিকের মুখােশ পড়ে খবর সংগ্রহের অছিলায় অভিযুক্তেরা সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও বিভেদ তৈরি করতে চেয়েছিলেন।

     

    যদিও কাপ্পানের পক্ষে সওয়াল করে কেরল ইউনিয়ন অব ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস নামের একটি সংগঠন। সেই সময় দেশের শীর্ষ আদালতকে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তেরও আর্জি জানায় তারা। চার্জশিট-কাণ্ডের পর সেই জল কোথায় গড়ায়, এখন সেটাই দেখার।