স্কুলের মিড ডে মিলে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে বিক্ষোভ কান্দিতে

জৈদুল সেখ, কান্দি: করোনা মহামারীতে মানুষ যখন দিশেহারা, খাদ্য সংকটে ভুগছে সাধারণ মানুষ। এ রাজ্যে ৮৮ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা যেখানে অপুষ্ট, সে কথা মাথায় রেখেই এ রাজ্যে যে মিড ডে মিল প্রকল্পটি চালু করা যাতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পুষ্টি বজায় রাখা যায় কিন্তু সেখানেও বড়ো সড়ো দূর্নীতি।

    মিড-ডে মিল প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে অশান্তি ছড়াল কান্দি থানার অন্তর্গত মহলন্দী-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে। সেখানকার জিয়াখর্দ্দ নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল খাদ্যসামগ্রীর নিম্নমান এবং কম দেওয়ার অভিযোগে অভিভাবক এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছন্দা মজুমদার ( ঘোষ)-কে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান।

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, লকডাউন পরিস্থিতির পর থেকে প্রায়শই মিড-ডে মিলে নিম্নমানের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। ডাল, সয়াবিন, আলুর মান নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। অভিযোগ, গত কয়েক মাস থেকে চল্লিশ টাকার সয়াবিনের প্যাকেট দেওয়ার কথা থাকলেও পড়ুয়াদের মাত্র ১০ টাকার প্যাকেট দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন জিয়াখর্দ্দ নিম্ম বুনিয়াদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছন্দা মজুমদার (ঘোষ)। শিশুদের খাদ্য সামগ্রীর টাকা নয়ছয় না করার জন্য বার বার আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় অবশেষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ অভিভাবক এবং গ্রামবাসীদের একাংশ বিক্ষোভ শুরু করেন। মিড-ডে মিল বয়কটের কথাও ঘোষণা করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত কান্দি থানার পুলিশ অফিসার সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

    উল্লেখ্য কেবল এক‌টি স্কুলে নয় কান্দী ব্লকের বিভিন্ন স্কুলে ঢালাও চাল চুরি। কোথাও কোথাও খোলা বাজারে চাল বিক্রি। অনেক ক্ষেত্রে আবার ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্য ডিম তাদের না-দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়া! এমনকি শিক্ষার্থীদের পোষাকে বড়ো সড়ো কাটমানির অভিযোগ এসেছে।

    স্কুলপড়ুয়াদের মুখের গ্রাস নিয়ে এই ধরনের অভিযোগ উঠছে দীর্ঘদিন ধরে। মিড-ডে মিল ঘিরে দুর্নীতি ধরতে বিশেষ নজরদার দল তৈরি করছে স্কুলশিক্ষা দফতর। কিন্তু সব ক্ষেত্রে সফল হয়নি এ কথা বলা যায়। এ প্রসঙ্গে কান্দির এস আই গোবিন্দ বাবু জানান “আমরা খবর পেয়েছি, তদন্ত শুরু করেছি, দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে “