পাহাড়েও নতুন ঠিকানার খোঁজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:- হিমালয় শুধু নেপালে নয়, এই রাজ্যেও রয়েছে। জয়গাঁও থেকে মেচী পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হিমালয়ের অবস্থান। পর্যটকদের কাছে তাকে তুলে ধর‍তেই বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভালের আয়োজন। তিন দিনের এই কার্নিভালের আজ সূচনা হল আজ, শুক্রবার, কালিম্পংয়ে। রাজ্য পর্যটন দফতর এবং হিমালয়ান হসপিট্যালিটি এণ্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন।কোভিড, লকডাউনের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোটা চ্যালেঞ্জ পর্যটনের সঙ্গে জড়িতদের। আর তাই উত্তরবঙ্গের পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সে নতুন ডেস্টিনেশনের খোঁজ দিতেই বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভাল। সেই দার্জিলিং, চিড়িয়াখানা, টয়ট্রেন, ডেলো শুধু নয়, উত্তরবঙ্গে আরও পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। এখানকার আলাদা সংস্কৃতি মুগ্ধ করে তুলবে পর্যটকদের। পর্যটক এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে মেলবন্ধন করাবে এই কার্নিভাল। তুলে ধরবে উত্তরের অর্থনীতির অন্যতম শিল্প পর্যটনের নয়া ডেস্টিনেশন।শনিবার কার্নিভাল হবে দার্জিলিংয়ে এবং রবিবার শেষদিনের ঠিকানা হবে গজলডোবা। হিমালয়ান হসপিট্যালিটি এণ্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, ”উত্তরবঙ্গে গ্রামীণ ট্যুরিজম বাড়ছে। পর্যটকদের সেই স্বাদ উপহার দেওয়া হবে। উত্তরে হেরিটেজ পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরাও এই কার্নিভালের  লক্ষ্য। বেঙ্গল হিমালয়াকে নতুন করে ব্র্যান্ড করাই এই কার্ণিভালের উদ্দেশ্য।” সংগঠনের সদস্যরা জানান, ” উত্তরে একাধিক পর্যটনের রসদ রয়েছে। সেই একঘেয়ে ঘোরার ঠিকানার পাশাপাশি নতুন ডেস্টিনেশনের খোঁজ দিতেই এই আয়োজন। জোর দেওয়া হবে উত্তরের হেরিটেজ এবং ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মালদহ ও দুই দিনাজপুরে পর্যটনকেন্দ্রগুলিকেও আগামিদিনে তুলে ধরা হবে।”পাহাড়েও নতুন ঠিকানার খোঁজ দেবে এই কার্নিভাল। সেইসঙ্গে এখানকার বিভিন্ন জনজাতির সংস্কৃতিও তুলে ধরা হবে। গত দু’বছর কোভিড এবং লকডাউনের জেরে মুখ থুবড়ে পড়ে পর্যটন শিল্প। অনেকেই পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানো এখন চ্যালেঞ্জ।