“কলকাতাকে মিনি পাকিস্তান করবেন বলেছিলেন ফিরহাদ” , দুর্গাপুরে দাঁড়িয়ে ফিরহাদকে আক্রমন জিতেন্দ্র তেওয়ারীর

 

    নিজস্ব প্রতিনিধি, নতুন গতি, আসানসোল: আমার এলাকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকা পেতে গোপন চিঠি লিখেছিলাম। সেটা ফাঁস করে দিয়ে আমায় বলছে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছি।” একই সঙ্গে তিনি আরও “বিরুদ্ধ কথা বললেই বিজেপি! সব নিজেরা দখল করে থাকবে! আমিও বলেছি, উনি তো মিনি পাকিস্তান গড়ার কথা বলেছিলেন। তাহলে ওনার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে।” বুধবার দুর্গাপুরে একটি জনসভায় হাজির ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কড়া ভাষায় ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমন করেন জিতেন্দ্র। তিনি বলেন “ফরহাদ হাকিম কে দেখে আমার দলে আসিনি । উনি জ্ঞান দেবেন তা শুনতে হবে হবে কেন? কিছু বললেই তুমি বিজেপির কথা বলছো ” তিনি আরো বলেন দল যদি বলে চলে যেতে চলে যাব কিন্তু মানুষের কথা বলবোই।
    সম্প্রতি উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা নিয়ে শুরু হয়েছিল বিবাদ। যা নিয়ে অচিরেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছিল। মাঝে বিবাদ মেটার ইঙ্গিত দেখা দিলেও আদতে যে বিষয়টি সোনার পাথরবাটি তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন আসানসোল পুরসভার প্রশাসক এবং পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওরারি।স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য আসানসোলকে চিহ্নিত করে কেন্দ্র। যার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয়। যা নেয়নি রাজ্য। এই বিষয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান পুরপ্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। চিঠি পাঠানো ‘অত্যন্ত খারাপ’ বলে মন্তব্য করেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরাদ হাকিম। চিঠির পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেন ববি হাকিম। এই নিয়েই শুরু হয়ে যায় তরজা।

    অবশ্য বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য তথা বিবাদ মেটাতে জিতেন্দ্রকে কলকাতায় তলব করেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সে বৈঠকে যোগ দেননি পাণ্ডাবেসরের বিধায়ক, উল্টে দুর্গাপুরের শ্রমিক সংগঠনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিলেন দল ছাড়তে তার ২মিনিট সময় লাগবে না । আর তার এই বক্তব্যকে ঘিরে অশনির সংকেত দেখছে রাজনৈতিক মহল।