শহীদ দিবসে মৃত ব্যক্তিদের স্মরণে পতাকা উত্তোলন ও মাল্যদান

নবগ্রাম, 31 শে আগস্ট: আজ থেকে 62 বছর আগে আজকের দিনে গ্রাম-গ্রামাঞ্চল থেকে গরিব মানুষ কলকাতার রাজপথে পা মিলিয়ে ছিলেন ‘খাদ্য চাই’এই দাবিতে। সেদিন 80 জন নিরীহ মানুষের প্রাণ যায়। হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ হন। কত যে মানুষ সেদিন চিরদিনের মত হারিয়ে গেছেন তার হিসাব নেই।

    আজ 31 শে আগস্ট, ঐতিহাসিক শহীদ দিবস। ভারতের গণ আন্দোলনের ইতিহাসে রক্তে লেখা একটি দিন।১৯৫৯ সালের এই দিনটিতে খাদ্যের দাবিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। ‘খাদ্য চাই’___এই দাবিতে বাংলার গ্রাম_গ্রামান্তরের মানুষ নারী-পুরুষ জমায়েত হয়েছিলেন কলকাতায়। পা মিলিয়ে ছিলেন শান্তিপূর্ণ মিছিলে।এ রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার। বিধান রায়ের পুলিশ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে আশি জন ক্ষুধার্ত মানুষকে। আহত হয়েছিলেন প্রায় 4 হাজার মানুষ।31 শে আগস্ট সেই রক্তাক্ত ঘটনার পরের দিন পয়লা সেপ্টেম্বর রাজ্যব্যাপী পালিত হয় ছাত্র ধর্মঘট। পুলিশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাসে শহীদ হন কয়েকজন ছাত্র। পরবর্তী সময়ে এই আন্দোলন আরো তীব্র হয়। তেসরা সেপ্টেম্বর রাজ্য জুড়ে পালিত হয় সাধারণ ধর্মঘট ও হরতাল। জয়ী হয় গণতান্ত্রিক মানুষের আন্দোলন।

    ঐতিহাসিক খাদ্য আন্দোলনের অমর শহীদদের স্মরণ করে 31 শে আগস্ট দিনটি ১৯৫৯ সালের পর থেকে প্রতিবছরই শহীদ দিবস হিসাবে পালিত হয়। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের স্মরণ করে সারা ভারত কৃষক সভা নবগ্রাম ব্লক কমিটি দিনটিকে পালন করল cpi-m পার্টি দপ্তর মুজাফফর আহমেদ শতবর্ষ ভবনে। প্রথমে পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনের সভাপতি মুকুল মন্ডল। এরপর শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন সংগঠনের অপর সদস্যরা।

    এরপর এক পথসভায় মিলিত হন সংগঠনের সদস্যরা নবগ্রাম বাস স্ট্যান্ড এ। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক আমির আলী, সিটু নেতা সঞ্জীব পান্ডে, খেতমজুর নেতা জুয়েল শেখ, হাবিবুর রহমান প্রমূখ। সভাপতিত্ব করেন মুকুল মন্ডল।