রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বর্জিত ভাসমান সব্জি খেত কুলতলিতে

বাবলু হাসান লস্কর, কুলতলি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত জলে কিম্বা রোদ, জল, বৃষ্টিতে ক্ষতি না হওয়ার সম্ভাবনা এই ভাসমান সব্জি খেতে। সাউথ এশিয়ান ফ্রোরাম ফর এনভারমেন্ট ( SAEF) এর তদারকি ও কুলতলি ব্লক প্রশাসনের সহয়তায় কুলতলির দেউলবাড়ি দেবিপুর, গোপালগঞ্জ, কুন্দখালী গোদাবর, মৈপিঠ বৈকুণ্ঠপুর সহ একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় ভাসমান সব্জিক্ষেত তৈরি করেছে। আগামী দিনগুলিতে রোদ জলবৃষ্টি সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই ক্ষেত কোনো রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। কৃষি বিজ্ঞানীদের অভিপ্রায় যেভাবে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় পতিবছরে নেমে আসছে গাঙ্গেয় সুন্দরবন এলাকায়, এই বিপর্যয় চাষের ক্ষেত ক্ষতি না করতে পারে তার জন্য সাউথ এশিয়ান ফ্রোরাম ফর এনভারমেন্টের ব্যবস্থাপনায় এই সমস্ত সব্জি ক্ষেতগুলি খুব একটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না। তার উপরে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক বিপর্যয় লেগেই আছে। আর গাঙ্গেও সুন্দরবন এলাকায় নিয়মিত যারা বাঘ ও কুমিরের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁধে থাকা যে সমস্ত মৎস্যজীবী যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবার গুলির কর্সংস্থান সৃষ্টি করতে বজ্ঞানসম্মত উপায়ে কর্ম দিবস সৃষ্টি তথা স্বয়ংসম্পন্ন করতে এমনই উদ্যোগ। প্রতিনিয়ত মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় যাদের তাদের আবাদযোগ্য জমিতে এমনি উদ্যেগ গ্রহণ করলো স্চ্ছোসেবী সংগঠন। বাঘে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যের মুখে অন্ন তুলে দিতে সাউথ এশিয়ান ফ্রোরাম ফর এনভারমেন্টের সহায়তায় তৈরি করে দেয়া হচ্ছে ভাসমান সব্জিক্ষেত সারা বছরে সিজেন অনুযায়ী এখান থেকে সব্জি পাওয়া যাবে। নিজেদের পরিবারের প্রয়োজন মিটিয়ে বাজারজাত করে অর্থ উপার্জন করার এক সুবর্ণ সুযোগ এই প্রকল্পের মাধ্যমে।অধিক সব্জি বিক্রি করার মাধ্যমে যেমন প্রচুর মুনাফা লাভ করা যাবে তেমনি পরিবার সচ্ছল হবে। বিশেষত পিছিয়ে পড়া এই জনজাতিদের বেশ কয়েকটি দলে ভাগে এক একটা দলকে এমনই ভাবে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই ক্ষেতে তৈরি টমাটো, ঢেঁড়স ,লাল শাক, উচ্ছে,ঝিঙগা,পালং শাক , ধনিয়া, নোটে, লঙ্কা সহ একাধিক সব্জি । যেখানে রাসায়নিক বর্জিত জৈব পদ্ধতিতে এই চাষ যা লাভের অঙ্ক দেখছেন এলাকার চাষীরা। সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর এনভারমেন্টের কর্মকর্তারা তারা জানিয়েছেন বিশেষত প্রতিবছরের প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিম্বা নদীর বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে দীঘার পর বিঘা জমি নদীর নোনা জলে প্লাবিত হয়ে যাবার পর সেখানে হচ্ছে না সব্জি কিম্বা ধান চাষ আর সেই সমস্ত এলাকাকে চিহ্নিত করে এলাকার বিশেষ করে বাঘে কিম্বা কুমিরে আক্রান্ত পরিবারদের আর্থসামাজিক উন্নতি সাধনে এবং সুন্দরবন মুখী না হয় তার জন্য এমনই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন ডক্টর দীপায়ন দে তিনি জানান বিশেষত কুলতলী সহ একাধিক ব্লক আমরা বেছে নিয়েছি । এখানকার বহু মানুষ বাঘের আক্রমণে আহত কিম্বা নিহত হচ্ছে- আর সেই সমস্ত পরিবারের জন্য তাদেরকে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে কুলতলী ব্লকে তাদের এই মুহূর্তে চলছে ভাসমান সব্জি ক্ষেত এর প্রজেক্ট এর পর কাঁকড়া, মাছ,মৌপালন সহ একাধিক আর যেই প্রজেক্ট এর মাধ্যমে কয়েক শত মহিলারা তাদের সংসারের সব্জি উৎপাদন করছেন । কুলতলীর দেউলবাড়ি, কন্দখালি, গোপালগঞ্জ, মৈপিঠ সহ একাধিক এলাকায় সেল্ফ হেল্প গ্রুপ মহিলাদের মাধ্যমে কিম্বা গোষ্ঠীর দ্বারা এই সমস্ত সবজি চাষ ভাসমান সব্জি চাষ করছেন তাতে ভালো সুফল পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষত সিজানুযায়ি সব্জি চাষ করে সুফল পেতে চলেছে এলাকার এই সমস্ত পরিবার।