মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গেল পোস্টার বিপর্যস্ত উড়ালপুল ভেঙে ফেলার কাজ

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: নির্দেশিকা অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গেল পোস্টার বিপর্যস্ত উড়ালপুল ভেঙে ফেলার কাজ। একদিকে যখন স্থানীয় বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো হয়েছে, ঠিক তেমনই এলাকার একাধিক রাস্তায় নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে যান চলাচল। দ্বিমুখী করে দেওয়া হয়েছে এমজি রোড। এই কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই, গত বছরে রাজ্য বাজেটের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পোস্তা থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত যে উড়ালপুলের প্রস্তাব রেখেছিলেন সেই বিবেকানন্দ উড়ালপুল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হয়ে যাবে।

    কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, ঘুরপথে, মহর্ষি দেবেন্দ্র রোড, কে কে টেগোর স্ট্রিট ও গণেশ টকিজ হয়ে গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মহাত্মা গান্ধী রোড তথা এমজি রোডকে দ্বিমুখী করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকেই উড়ালপুল সংলগ্ন এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। কেএমডিএ সূত্রে খবর, ভাঙার কাজ চলবে ৪ দফায়। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, গোটা বিষয়টি হচ্ছে রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস বা রাইটস-এর তত্ত্বাবধানে। অন্যদিকে ডায়মন্ড কাটিং পদ্ধতিতে নামানো হবে ব্রিজের যন্ত্রাংশগুলি। সছক্ষেত্রে কম্পন হবে।বাড়ি গায়ে গায়ে অথচ ভিত গভীর নয়। আর তাই বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যাতে কোনওরকম ক্ষতি না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ চলবে।

    বাম জমানাতেই শুরু হয়েছিল পোস্তার এই উড়ালপুল নির্মাণের কাজ। প্রায় আড়াই কিলোমিটার লম্বা এই উড়ালপুল নির্মাণের জন্য ১৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেই দেওয়া হয়েছিল। যদিও নির্দিষ্ট সময়ের পরেও সেই উড়ালপুল নির্মাণ করতে পারেনি নির্মাণের জন্য বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাটি। ২০১৬ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের মুখেই ৩১ মার্চ দুপুরে সেই উড়ালপুলের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তার জেরে ২৭ জনের মৃত্যু হয় ও ৮০ জনেরও বেশি জখম হয়েছিলেন। এরপর থেকেই পোস্তা এলাকার বাসিন্দারা এই উড়ালপুল ভেঙে ফেলার দাবিতে সরব হন। এমনকী, পোস্তা এলাকার ব্যবসায়ীরাও এই উড়ালপুল ভেঙে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবেদন জানান। এরপরে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ সংস্থা ও ইঞ্জিনিয়ারদের মতামত নিয়েই এই উড়ালপুল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এই উড়ালপুল মূলত তৈরি করে হচ্ছিল হাওড়া স্টেশন থেকে উল্টোডাঙা, সল্টলেক ও বিমানবন্দর এলাকায় দ্রুত পৌঁছাবার জন্য। পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলায় সেই লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হবে না।