বনদপ্তরের তরফে রাজনগরে মহিলাদের শালপাতার থালা তৈরীর মেশিন প্রদান

 

     

     

    খান আরশাদ, বীরভূম:

    রাজনগরে বন দপ্তরের তরফে স্বনির্ভর দলের মহিলাদের শালপাতার থালা তৈরির মেশিন প্রদান করা হল বৃহস্পতিবার, উপস্থিত মুখ্য বনপাল।
    রাজনগরের গাংমুরি-জয়পুর অঞ্চলের ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম হল কুড়ুল মাটিয়া। এই গ্রামে প্রায় সব মানুষই দারিদ্র সীমার নিচে বাস করেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ থাকায় এখানের মানুষের আর্থিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
    গ্রামের পুরুষেরা বেশিরভাগই দিনমজুরের কাজ করেন। রাজনগর রেঞ্জের রেঞ্জার কুদরতে খোদার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রসারী নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় এই গ্রামের হত-দরিদ্র মহিলাদের জন্য একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।


    বৃহস্পতিবার এই গ্রামের মহিলাদের শালপাতার থালা তৈরির একটি মেশিন প্রদান করা হল।
    স্বনির্ভর দলের মহিলাদের মধ্যে এই মেশিনটি মুখ্য বনপাল বিদ্যুৎ সরকার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা তুলে দিলেন।
    কুড়ুলমাটিয়া গ্রামের এসব মহিলারা সাধারণত শালপাতা কুড়িয়ে তা দিয়ে থালা তৈরি করেন এবং তা বিক্রি করে খুবই যৎসামান্য কিছু আয় করে থাকেন। বন দপ্তরের তরফ থেকে পাওয়া এই মেশিন দিয়ে এবার থেকে এইসব মহিলারা খুব সহজে এবং অনেক কম পরিশ্রমে অনেক বেশি করে শালপাতার থালা তৈরি করতে পারবেন এবং এগুলি বাজারযাত করার ব্যবস্থাও বনদপ্তরের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।


    গ্রামে একটি শেড তৈরি করে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে এই স্বয়ংক্রিয় সালপাতা তৈরীর থালা তৈরির স্বয়ংক্রিয় মেশিনটি বসানো হবে সেখানে অপারেটর গিয়ে তাদের ওই মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রায় ২০ থেকে ২২ জনের কর্মসংস্থান হবে বলে জানা গিয়েছে। বনজ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকায় সাধারণ দরিদ্র মানুষের উন্নতি সাধন করাই তাঁদের লক্ষ্য বলে জানান রাজনগর রেঞ্জের রেঞ্জার কুদরতে খোদা।

    মুখ্য বনপাল বিদ্যুৎ সরকার জানান কুড়ুল মাটিয়া গ্রামের এইসব মহিলারা এই মেশিনটি ব্যবহার করার ফলে আয়ের একটি নতুন উৎস খুঁজে পাবেন। মার্কেটিং এর ব্যাপারেও তাঁদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে বলে জানান মুখ্য বনপাল।
    এই মেশিন পেয়ে খুশি স্বনির্ভর দলের এইসব মহিলারা এদের মধ্যে সীমা টুডু জানান খুবই কষ্টের মধ্যে তাদের সংসার চলে। শালপাতার থালা যদি বিক্রি ভালো হয়, তাহলে তাদের সংসারের অনেকটাই অভাব মিটবে।
    উপস্থিত ছিলেন প্রধান মুখ্য বনপাল বিদ্যুৎ সরকার,
    ADFO সোমনাথ চৌধুরী ,
    বিভাগীয় বন আধিকারিক রাহুল কুমার, রেঞ্জার কুদরতে খোদা, বিট অফিসার মদন চন্দ্র গণ সহ অন্যান্য বন কর্মীরা।