ফটোগ্রাফিতে আন্তর্জাতিক পুরস্কারে সম্মানীতা বর্ধমানের নাতাশা মণ্ডল

আর এ মন্ডল : নাতাশা মণ্ডল বর্তমানে বর্ধমান শহরের খাগড়াগড়ের বাসিন্দা। পিতা- নুরবক্স মণ্ডল প্রাক্তন ডি আই জি আর ( অর্থ দফতর), বড় ভাই- ডাক্তার তারিক আজিজ এম ডি (রেডিওলজিস্ট), ছোট ভাই- ডাক্তার তাতাল আজিজ এম বি বি এস এবং উচ্চ শিক্ষিতা মা পরিবারের কাজের মধ্যে থেকেও ছিলেন সন্ত্বান সন্ত্বতিদের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীলা। নাতাশা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও স্কুল জীবনের শখ, ফটোগ্রাফিতেই পড়ে থাকত তাঁর মন-মস্তিষ্ক।কম্পিউটারেও ছিল খুবই আগ্রহ। এখন তিনি অ্যানিমেশনেও বিশেষ দক্ষতা হাসিল করে চলেছেন এবং পেশা হিসাবেও প্রতিষ্ঠিতা।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক স্তরের ফটোগ্রাফিতে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের জন্য ছবিও পাঠিয়ে দেন।তারই জেরে তাঁর প্রতিভার বিকাশ লাভ করতে থাকে-।দিল্লির এক নামী সংস্থার জাতীয় অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রৌপ্য পদক পায়। তারপরই আমেরিকা থেকেও তৃতীয় পুরষ্কার ব্রোঞ্জ মেডেল এবং তুরস্কের এক অনুষ্ঠানে রৌপ্য পদক পেয়েছেন দ্বিতীয় হওয়ার জন্য। ঐসব অনুষ্ঠানে পুরষ্কার নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ থাকলেও বিশেষ কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেন নাই।
শারজায় এক বড়ো মাপের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করায় নাতাশা স্বশরীরে হাজির হন এবং ৭ দিন অবস্থান করেন। স্বর্ণ পদক প্রাপ্তা নাতাশা ঐ সময়ে বহু জ্ঞানী গুণী প্রতিভাবান শিল্পী সত্ত্বার সাথে পরিচিত হন এবং বিশেষ ব্যাক্তিবর্গের সান্নিধ্য লাভ করেন। প্রচারের আলোয় আসতে না চাইলেও অবশেষে সুখবরটি নজরে এসে যায়। বর্তমানে এই উল্লেখযোগ্য সুশিক্ষিত প্রতিভাধর পরিবারের আদি নিবাস ছিল বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের নলডাঙ্গা গ্রামে, অতঃপর বাঁকুড়ার ইন্দাসে-।যেখানে এলাকার গর্ব নাতাশা মণ্ডল এর চাচা, ফুফু (পিসি মা) এবং দাদীজী(শত বর্ষ উত্তীর্ণা) এখনও বসবাস করেন। তাই নাতাশা শুধুমাত্র বর্ধমান জেলার নয় বাঁকুড়ারও সেই সাথে রাজা দেশের জন্যও সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক।