বেসরকারি কোম্পানির টাওয়ার বসানোর নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক:- বেসরকারি কোম্পানির টাওয়ার বসানোর নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল একটি সংস্থার বিরুদ্ধে (East Bardhaman News)। বেসরকারি কোম্পানির টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারিত হলেন বর্ধমান কিমস হাসপাতালের ডিরেক্টর ড: দেবব্রত ব্যানার্জি। জানা গিয়েছে, কিমস হাসপাতালের ডাক্তার দেবব্রত ব্যানার্জির কাছ থেকে মোট ত্রিশ লক্ষ টাকা চাওয়া হয় টাওয়ার বসানোর নাম করে, কিন্তু চার দফায় সর্বমোট ২০ লক্ষ টাকা নেয় ওই অভিযুক্ত টাওয়ার বসানোর সংস্থা!ড: দেবব্রত ব্যানার্জিকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, কাজ শুরুর প্রথম মাসে দেড় কোটি টাকা ও মাসে দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে ড: দেবব্রত ব্যানার্জি ওনাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। এবং চার দফায় সর্বমোট ২০ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা তিনি দেন। কিন্তু তারপর তাঁর সন্দেহ হয়। কাজের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় দেবব্রত বাবু বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন(East Bardhaman News)। তারপর তিনি সমস্ত প্রমাণ সহ বর্ধমান পুলিশ সুপারের অফিসে যোগাযোগ করেন এবং সেখান থেকে বর্ধমান সাইবার ক্রাইম বিভাগে তাকে পাঠানো হয়।সাইবার ক্রাইম বিভাগের অফিসাররা দ্রুততার সঙ্গে শুরু করে দেন তদন্ত। ২০২১ সালে এই অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। আর এই তদন্তের নিষ্পত্তি করল প্রশাসন। ঘটনার তদন্তে নেমে গতকাল বেহালা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বর্ধমান সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। শুধু তাই নয়, ড: দেবব্রত ব্যানার্জির থেকে যে ২০ লক্ষ টাকা ২৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল সেই টাকা ফেরত পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ। সেই মতো ব্যাংক মারফত টাকা ফেরত পান ড: দেবব্রত।ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়েছে। এদিন বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিশ সেন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, এইরকম টাওয়ার বসানোর নাম করে বিভিন্ন রকম কোম্পানি থেকে লক্ষাধিক টাকা চাওয়া হয় এবং সাধারণ মানুষ এটাতে বিশ্বাস করে টাকা দিয়ে প্রতারিত হন। এগুলোর বেশিরভাগই, ৯৯.৯৯ শতাংশই ফেক বা জালি হয়। তাই দয়া করে সকলে এই সব কোম্পানির কাছে কখনোই টাকা আদান প্রদান করবেন না।”(East Bardhaman News)এই প্রসঙ্গে বর্ধমান কিমস হাসপাতালের ডিরেক্টর ড: দেবব্রত ব্যানার্জি জানান, কিমস হাসপাতালের ছাদের উপরে টাওয়ার বসানোর নাম করে তাঁর কাছে মোট ৩০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। তিনি সর্বমোট ২০ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা দিয়েছেন। পরে বুঝতে পেরে তিনি বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার অফিসে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান সাইবার ক্রাইম পাঠানো হয়। মাস কয়েকের মধ্যে গত পরশুদিন তাঁর দেওয়া পুরো টাকা তিনি ফেরত পেয়ে যান। তিনি পুলিশের প্রশংসা করে বলেন, পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে, খুব কম সময়ের মধ্যেই। বর্ধমান জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।