লটারির জাল রেজাল্ট ছাপিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে জালিয়াতরা, এমনই অভিনব প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে হুগলির ব্যান্ডেলে

নিজস্ব সংবাদদাতা : লটারির টিকিটে জালিয়াতির ঘটনা অনেকেই শুনেছেন, কিন্তু লটারির জাল রেজাল্ট ছাপিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে জালিয়াতরা, এমন ঘটনা অবাক করা। এমনই অভিনব প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে হুগলির ব্যান্ডেলে। জানা গিয়েছে, ব্যান্ডেল স্টেশন রোড কৈলাসনগর মোড়ে একটি লটারির দোকানে বুধবার সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি আসেন বাইকে করে। লটারির দোকানে সন্ধ্যাবেলা ভালোই ভিড় থাকে। যখন ভিড় ফাঁকা হয় সেই ব্যক্তি দোকানে গিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো আমার একটা প্রাইজ লেগেছে।’

    দোকানদার বিকাশ ঘোষ কর্মচারী শ্যামল দাসকে মিলিয়ে দেখতে বলেন। আড়াইশো টাকার ২৫ টা প্রাইজ লেগেছে দেখা যায়। হিসাব অনুযায়ী ৬২৫০ টাকা হয়। সেই ব্যাক্তি বলেন, তিনি কিছু টাকার টিকিট নেবেন। তিনি জানতে চান টিকিট টা ভাঙিয়ে দেওয়া যাবে কিনা। বিকাশ জানায় ভাঙ্গিয়ে দেবেন। প্রতারক বলে, ৬২৫০ টাকা থেকে টিকিটের দাম বাবদ ৭২০ টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকাটা তাকে দিয়ে দিতে।দোকানদার বলেন, তার কাছে এত টাকা নেই। ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে আনতে হবে। প্রতারককে বসিয়ে রেখে ডিস্ট্রিবিউটারের কাছে গিয়ে ওই টিকিট দেখিয়ে টাকা চাইলে ডিস্ট্রিবিউটর টিকিট মিলিয়ে দেখেন সেই টিকিটের কোন প্রাইজ লাগেনি।তড়িঘড়ি দোকানদার দোকানে ফিরে এসে দেখেন ওই প্রতারক আর নেই বেপাত্তা হয়ে গেছে।বিকাশ ঘোষ বলেন, ‘আমি মোবাইলে রেজাল্ট মিলিয়ে দেখি টিকিটে কোন প্রাইজ নেই তাহলে এই রেজাল্টের তালিকা কোথা থেকে এলো? পরে বুঝতে পারি আমার রেজাল্টটা ওই প্রতারক সরিয়ে দিয়ে প্রতারক নিজের রেজাল্টটা ওখানে ঢুকিয়ে দেয়।’ দোকানদার আরও বলেন, ‘আমি ডিস্ট্রিবিউটারের ঘরে না গেলে বুঝতে পারতাম না তখন হয়ত আমার অনেক টাকা চলে যেত। দোকানে লটারির রেজাল্টের যে তালিকা থাকে সেই তালিকা মালিকের নজর এড়িয়ে নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নকল রেজাল্ট রেখে দেয়। দেখে বোঝার উপায় নেই নকল আর আসল কারণ রেজাল্ট শিট প্রিন্ট করা।’ লটারি খেলার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওয়েব সাইটে ফল প্রকাশ হয়। সেখান থেকে ডাউনলোড করে লটারি ব্যবসায়ীরা দোকানে টাঙিয়ে রাখেন। সেখানেই প্রতারণার ফাঁদ পাতে প্রতারকরা।আরও কয়েকটি জায়গায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।