|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: সব ঠিক থাকলে, কলকাতা থেকেই এ বার সটান উড়ে যাওয়া যাবে লন্ডনে (Kolkata to London Direct Flight)। কোচবিহার এবং মালদা থেকেও উড়তে পারে যাত্রীবাহী বিমান। অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) তাঁদের এমনই আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানালেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandyopadhyay)।
সুদীপ জানিয়েছেন, পুরুলিয়ায় নতুন বিমানবন্দর নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জ্যোতিরাদিত্য। এই শীতেই কোচবিহার থেকে উড়বে যাত্রীবাহী বিমান। মালদা থেকেও ছোট বিমান চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এর পাশাপাশি, কলকাতা থেকে ফের উড়বে সরাসরি লন্ডন যাওয়ার বিমান।
মঙ্গলবার রাজ্যের একাধিক বিমানবন্দর থেকে পরিষেবা চালুর দাবিতে, অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের চারজন সাংসদ। সেখানেই কেন্দ্রীয় সরকার আশার কথা শুনিয়েছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বাংলার উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, মালদা, বালুরঘাটে বিমানবন্দর থাকলেও, কোনও যাত্রীবাহী বিমান ওঠানামা করে না। যা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে সম্প্রতি, কেন্দ্রের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “কোচবিহার, বালুরঘাট, মালদাতে জমি তৈরি আছে। কিন্তু, কেন্দ্র অনুমতি দিচ্ছে না। পুরুলিয়ায় নতুন বিমানবন্দর করব।”
দিল্লিতে এ দিনের বৈঠকের পর তৃণমূলের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, আসন্ন শীতেই কোচবিহার থেকে কলকাতাগামী ১৯ আসনের বিমান চালানো শুরু হবে। রাজ্য সরকারের তরফে প্রস্তাব পেলে, মালদা বিমানবন্দর থেকে নয় আসনের বিমান চালুর কথা ভাবা হবে।
পুরুলিয়ায় ছররায় নতুন বিমানবন্দর তৈরির জন্য, রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা যৌথভাবে পরিদর্শন করবেন। যদিও অন্ডাল বিমানবন্দরের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য পাবে না রাজ্য।
সুদীপ বলেন, “মালদা, কোচবিহার এবং বালুরঘাট সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন যে এটি তিন মাসের মধ্যে চালু করা যেতে পারে, যদি একটি রাজ্য থেকে প্রস্তাব আসে, কিছু পরিকাঠামো দরকার। আমরা পুরুলিয়ার চরাতে বিমানবন্দর চালু করার অনুরোধ করেছি। অন্ডাল সম্পর্কে তিনি বলেছেন যে এটি একটি প্রাইভেট বিমানবন্দর এবং কেন্দ্র আর্থিক সহায়তা দিতে পারে না তবে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া যেতে পারে, আমরা চেষ্টা করব।”
রাজ্যের দুই জেলা থেকেই মিলবে পরিষেবা!
বর্তমানে কলকাতা বিমানবন্দরে বছরে প্রায় আড়াই কোটি (২.৬) যাত্রীর ওঠানামার পরিকাঠামো আছে। আগামী দিনে তা চার কোটির কাছাকাছি (৩.৭৫) নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে, বৈঠকে আশ্বাস দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য।