মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত স্থাপন ও পৃথক ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধনের ডাক দিলো ‘ফাম’

মুহাম্মদ রাইহানুল হক, নতুন গতি:
কয়েকমাস আগে রাজ্য বিধানসভায় ৬ টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বিলের সঙ্গে পাশ হয়ে গেছে ‘মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বিল’। কিন্তু তারপরে প্রশাসনের দিক থেকে এব্যাপারে কাজ চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। এরই প্রতিবাদে ‘ফোরাম ফর ইউনিভার্সিটি ইন মুর্শিদাবাদ (ফাম)’ মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্রুত স্থাপন’ ও ‘পৃথক ক্যাম্পাসের’ দাবিতে আগামী ২৫ শে অক্টোবর, বেলা ২:৩০টায় বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে মানববন্ধনের ডাক দিলো।ফামের সভাপতি আইনজীবী মোজাম্মেল হক জানালেন, “আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি রাজ্য সরকার বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজেই ‘মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের দিকে এগোচ্ছে।

    (ফাইল চিত্র )

    কিন্তু আমাদের পর্যবেক্ষণে যা জেনেছি, তাতে করে ঐ কলেজ এখন রেগুলার কোর্স ছাড়াও বিভিন্ন মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের কাজ চলায় এমনিতেই অধিক ভারে ভারাক্রান্ত। তাই আমাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় হোক পৃথকভাবে নতুন জায়গায়।বিশেষ করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া এবং জেলার ঠিক মাঝামাঝিতে।যাতে করে জেলার সমস্ত পড়ুয়াদের যোগাযোগ সহজে করা যায়। এবং সেটা হোক অতি দ্রুতগতিতে।” ঐদিন জেলার সমস্ত ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষানুরাগীদের ঐ কর্মসূচী সফল করার ডাক দিয়েছেন। এই কর্মসূচীতে জমায়েত হচ্ছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ।

    (ফাইল চিত্র )

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ‘পিছিয়ে পড়া’ মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছে ‘ফাম’। সংগঠনটি ফারাক্কা থেকে লালগোলা পর্যন্ত কয়েকদফা রিলে পদযাত্রা সংগঠিত করে। বিভিন্ন স্কুল কলেজে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে লাগাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি সম্বলিত প্রচার করেছে। এমনকি কোলকাতা বইমেলা সহ জেলার বিভিন্ন গণসমাবেশ গুলিতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেছে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু নিয়েও বিভিন্ন পদযাত্রা, মিছিল বা পথসভা আয়োজন করেছে ‘ফাম’। তিনি আরো জানালেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপন তথা পঠনপাঠনের কাজ অতিদ্রুত শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে ‘ফাম’।” দলমত নির্বিশেষে এই কর্মসূচীকে সাফল্যমণ্ডিত করে ‘পিছিয়ে পড়া’ তকমা ঘোঁচাতে আন্তরিকভাবে সকলের সাহায্য চেয়েছেন তিনি।

    (ফাইল চিত্র )