শিলিগুড়িতে পুরনির্বাচনকে ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনা

শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে পুরনির্বাচনকে ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনা।একেই ভোট পিছিয়ে যাওয়াতে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যেই সমস্যা তৈরী হয়েছে তার উপরে একে অন্যের উপরে দোষারোপের ঘটনা তো লেগেই আছে।তৃনমুল এবং বিজেপী একে অন্যের উপরে দোষারোপ করেই চলেছে।প্রথমে কিডন্যাপিং এর ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস এবং পরে দলের মধ্যে অন্তদন্ধ বেড়েই চলেছে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে।

    শিলিগুড়ির 12নং ওয়ার্ডে নান্টু পাল এবং বাসুদেব ঘোষের মধ্যে লড়াই সবচাইতে উত্তেজনাপূর্ন হতে চলেছে,তৃনমুল ছেড়ে বিজেপীতে এসে টিকিট পেয়ে নান্টু পাল এবং কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল আসা বাসুদেব ঘোষের মধ্যে লড়াই চরমে উঠেছে।দুপক্ষই নিজেদের জয়ী ঘোষনা করে ভোটের লড়াইএ এগিয়ে চলেছেন এছাড়া তৃণমূলের আরো বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে লড়াই বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই।এর মধ্যে শিলিগুড়ির 15নং ওয়ার্ডে রঞ্জন সরকার এবং 33নং ওয়ার্ডে গৌতম দেবের লড়াই বেশ জোরদার হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় তৃণমূলের সুবিধা হল বলে মনে করছেন সিপিএমের 6নং ওয়ার্ডের প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য,তিনি অভিযোগ করেছেন ইচ্ছা করেই ভোট পিছিয়ে দিয়েছে তৃণমূল বলে অভিযোগ অশোক ভট্টাচার্যের।তিনি অভিযোগ করেছেন নিজেদের অবস্থা খারাপ বুঝতে পেরেই আই প্যাকের পরামর্শেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ভোট।একই অভিযোগ শঙ্কর ঘোষেরও তিনি জানিয়েছেন নিজেদের জোরেই নিজেদের সুবিধা করে নিয়ে ভোট করাচ্ছে তৃণমূল।তবে এতে লাভ হবে না,তৃনমুল শিলিগুড়ি পুরসভা দখল করতে পারবে না।এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল,জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোন দরকার নেই এই সব করবার,তৃনমুল কংগ্রেস মানুষের কথা ভেবেই ভোট পিছিয়ে যাওয়াতে রাজী হয়েছে।

    শিলিগুড়িতে আগামী 15ই ফেব্রুয়ারিতে ভোটের ফলাফল কি হবে তা হয়ত জানেন না কেউই তবে এই নির্বাচন যে যথেষ্ট আকর্ষনীয় হতে চলেছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।