গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য, আটক স্বামী

মালদা: গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য হবিবপুর ব্লকের জাজইল অঞ্চলের উত্তর আগ্রা এলাকায়। মৃত গৃহবধূর পিতার দাবি তার মেয়ের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের হাতে দিনের পর দিন নির্যাতনের ফলেই এই আত্মহত্যা।

    ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা যায় মৃত গৃহবধূর নাম রুম্পা হালদার ডারিয়া (২১)। তাঁর স্বামীর নাম রঞ্জিত দাড়িয়া। তিনি পেশায় শ্রমিক। তাঁদের বাড়ি ইংরেজবাজার ব্লকের পিয়াশ বাড়ি এলাকায়।

    বছর ছয় আগে হয় তাদের বিবাহ। মৃতের বাবা কৃষ্ণ হালদারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে মেয়ের ওপর অত্যাচার করত শশুরবাড়ির লোকেরা। বিনা কারণে মেয়েকে মারধর করত। এমনকী মেয়ের পর পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে। কিন্তু এলাকার মানুষ এই বিষয়ে কোনও কিছুই দেখেনি।

    তাঁর আরও অভিযোগ, অথচ বিনা কারণে মেয়ের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সন্দেহ করত। এদিনও রাতে এই নিয়ে বিবাদ হয়। এরপর এলাকার মানুষরা খবর দেন সকালে। তিনি খবর পান তাঁর মেয়ের মৃতদেহ ঝুলছে ঘরে।

    এরপর ঘটনার খবর পেয়ে তিনি সেখানে পৌঁছন। মরদেহ বুলবুলচণ্ডী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে তখন চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এবং ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের পর মালদা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠায়।

    মৃত গৃহবধূর স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে। হবিবপুর থানায় গৃহবধূর বাবা মৌখিক ভাবে সমস্ত অভিযোগ জানিয়েছেন। এবং লিখিতভাবে গৃহবধূর স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করবে বলে জানিয়েছেন।

    পুলিশ নিহত বধূ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে। আশপাশের মানুষের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঠিক কী হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরও তথ্য জানতে চাইছে।