| |
|---|
আজিজুর রহমান, পূর্ব বর্ধমান : মৃত্যু যেন এক চুলের ব্যবধানে ছিল। কিন্তু কালনা থানার কর্তব্যপরায়ণ সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ওয়াসিম আক্রমের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল প্রেমিক-প্রেমিকা। ওই প্রেমিক সাবালক যুবক হলেও প্রেমিকাটি নাবালিকা রয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত পরশু আনুমানিক রাত দেড়টা নাগাদ। ওই সময় কালনা থানার টহলদারি স্পেশাল ভ্যানে ডিউটি করছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর ওয়াসিম আক্রম ও তার সহকর্মীরা। দক্ষিণ কালনার দুর্গাপুর এলাকায় টহল দেওয়ার সময় তাঁরা দেখেন, রাস্তার ধারে একটি গাছের ডালে গলায় দড়ি দিয়ে দুই দিকে ঝুলে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে ওই প্রেমিক প্রেমিকা। গাছের নিচে রাখা আছে একটি মোটরসাইকেল। বিষয়টি বুঝে সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে যান সাব-ইন্সপেক্টর ওয়াসিম। তিনি যুবকের দুই পায়ের মাঝে নিজের কাঁধ ঢুকিয়ে তুলে ধরেন। অপর দিকে তার সহকর্মীরা নাবালিকার পা তুলে মোটরসাইকেলের সিটে রাখেন। এতেই দুইজনের গলার ফাঁস কিছুটা আলগা হয়। ততক্ষণে দু’জনেরই শ্বাসপ্রশ্বাস প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এরপর গলার ফাঁস খুলে দুইজনকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি কালনা মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা নিতে ওয়াসিম বাবু থানার এএসআই মলয় মণ্ডলকে ফোন করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেন। হাসপাতালে এনেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয় দুইজনের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুইজনই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে, কালনা থানা এলাকার বাসিন্দা ওই দুইজন প্রেমিক ও প্রেমিকা। তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে। বিবাহে আইনি জটিলতার কারণে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তবে পুলিশের মানবিক প্রচেষ্টায় প্রাণে বাঁচে দুইজনই। কালনা থানার পুলিশ অফিসার মোহাম্মদ ওয়াসিম আক্রম ও তার সহকর্মীদের এমন মানবিক কাজের প্রশংসা করেছেন অনেকেই।


