|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, গঙ্গাসাগর: আজ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে গেল গঙ্গাসাগর মেলা। যদিও খাতায় কলমে আরও তিন দিন বাকি মেলার।বুধবার ১৩ জানুয়ারি দুপুর থেকে বৃহষ্পতিবার ১৪ জানুয়ারি দুপুর পর্যন্ত মকরসংক্রান্তির পূর্ণ যোগ। তবে মকর সংক্রান্তির আগেই রবিবার বিকেল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে গেল গঙ্গাসাগর মেলা। মেলার উদ্বোধন করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন। সঙ্গে ছিলেন সাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা, সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার বৈভব তিয়ারি, ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. দেবাশিস রায় সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যেই মেলা প্রাঙ্গণ আলোর রোশনাইয়ে ভোরে উঠেছে। সাজিয়ে তোলা হয়েছে কপিলমুনির মন্দির থেকে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত নতুন রাস্তা। তবে এবছর করোনা পরিস্থিতিতে কম পুণ্যার্থী আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই বাড়িতে বসেই মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য ই-দর্শন ও ই-স্নান চালু হয়েছে। অনলাইনে অর্ডার করলেই ই-প্রসাদের মাধ্যমে গঙ্গা জল সহ প্রসাদ ও নানান সামগ্রী পৌঁছে যাবে বাড়িতে। তীর্থযাত্রীদের জন্য বহু সেফ হোমের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মেলায় ঢোকার প্রত্যেকটি পয়েন্টে এবং জেটি ঘাটে থাকছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা। বসানো হয়েছে স্যানিটাইজার ট্যানেলও। প্রত্যেক তীর্থ যাত্রীদের জন্য মাক্স ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণ সহ কচুবেড়িয়া ও বেনুবন পয়েন্টে আই স্যাট রাখা হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নেট বন্ধ হয়ে গেলে আই স্যাট প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গন সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। জলপথে সাগরদ্বীপে পৌছানোর লট নম্বর আট-কচুবেড়িয়া ও নামখানা-চেমাগুড়ি পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।