জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ভিক্ষুকদের নিয়ে বর্ধমানে প্রাক ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া।

লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ভিক্ষুকদের নিয়ে বর্ধমানে প্রাক ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া। ভাই ফোঁটার প্রাক্কালে বর্ধমান সদর প্যায়ারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ৫০ জন পথ ভিক্ষুকদের নিয়ে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে পালন করলো এক অভিনব ভাইফোঁটা, সঙ্গে ফোটা দেয়া হলো সাংবাদিক বন্ধুদেরও। ভাই ফোটার নিয়ম মেনে বোনেরা ফোটা দিল ভাইয়ের কপালে ও উপহার হিসেবে বোনেদের হাতে তুলে দিল শাড়ি। প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের মধ্যে এক ঢালাই খাবার খাওয়ার জন্য বিভিন্ন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এই সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে ভাইদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হলো নতুন থালা। ব্যবস্থা ছিল মধ্যাহ্ন ভোজনের। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, শাক ভাজা, সবজির তরকারি, মাংস, চাটনি সঙ্গে মিষ্টিমুখ। সংস্থার সম্পাদক মজুমদার জানান, বর্তমান সময়ে চতুর্দিকে যখন হিংসা এবং নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে সমাজের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন ফিরিয়ে আনা একান্তক আবশ্যক এর সাথে সাথে আজকে যে মানুষদের নিয়ে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান আয়োজিত হলো সেই ভিক্ষাজীবী সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষার অভাব লক্ষ্য করা যায়! এনাদের সাথে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুপরিচিত হয়ে আস্তে আস্তে এনাদের পারিবারিক অবস্থা জেনে বাড়িতে যদি কোন স্কুল না যাওয়া শিশু থেকে থাকে তাদেরকেও স্কুলে পাঠানোর দায়িত্ব সমাজের সকলের। সেই লক্ষ্য পূরণে আমরা এরকম ছোট ছোট বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক মানুষের সাথে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করি এবং লড়াই আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। সংস্থার মিডিয়া অফিসার অঙ্কিতা সাম বলেন, এই অভিনব ভাইফোঁটা সমাজে দারুন ভাবে প্রভাব পড়বে। প্রতিবন্ধী ভিক্ষাজীবী লক্ষিন্দর সরদার, নজরুল শেখ, নুরজাহান বিবিরা জানান, আজকের এই অনুষ্ঠান আমাদের সারা জীবন মনে রেখা পাত করে থাকবে। এদিনের অনুষ্ঠানে সংস্থার পক্ষ থেকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ মন্ডল, ঐন্দ্রিলা সাধু খাঁ, মনীষা মন্ডল, শিল্পা অধিকারী, অয়ন মাঝি, চৈতালি ঘোষ প্রমুখ।