একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ

মালদা, ১২ জুন : একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃত ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করেছে তারই স্কুলের এক ছেলে বন্ধু সাহেদুর শেখ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াচক থানার পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্র সাহেদুর শেখ এবং তার দাদা হাবিবুর রহমানকে আটক করেছে।  মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে, কালিয়াচক থানার জালুয়াবাধাল গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন সিলামপুর গ্রামে।  ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কালিয়াচক থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত ছাত্রীর দাদা সারিউল শেখ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম রাজিমা খাতুন (১৮)। সে জালুয়াবাধাল হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। ওই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত সাহেদুর সেখ। রবিবার রাতে ওই ছাত্রীকে মোবাইলে ফোন করে বাড়িতে ডাকে । এরপর রাতে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে আসে নি ।মোবাইলের সূত্র ধরে ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকেরা সাহেদুরের বাড়িতে যায়। কিন্তু ওই ছাত্রীর খোজ পায়নি পরিবারের লোকেরা। এরপর এলাকায় খোঁজ শুরু করলে একটি লিচু বাগানের একটি গাছের ডালে ওই ছাত্রীর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

    জানা গিয়েছে ওই ছাত্রীর দেহটি লিচু গাছের সঙ্গে ওড়না জড়ানো অবস্থায় ছিল। দেহটি মাটিতে হাঁটুগাড়া অবস্থায় ঝুলে ছিল । তাতেই মৃতের পরিবারের লোকেরা ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।

    মৃত ছাত্রীর দাদা সারিউল শেখ পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছেন,  মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ বোনকে ফোন করে তার স্কুলের এক বন্ধু সাহেদুর ডেকেছিল । অনেক রাত পর্যন্ত বোন বাড়িতে ফিরে না আসায় তার খোঁজ শুরু করি। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় বোন মোবাইল ফোনটি নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছিল। ওর মোবাইল ফোনে শেষবারের মতো সাহেদুর শেখের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তারই সূত্র ধরে সাহেদুরের বাড়িতে যায়। কিন্তু বোন কোথায় আছে তা জানাতে অস্বীকার করে সাহেদুর ও তার পরিবারের লোকেরা। এরপরই বোনের খোঁজ শুরু করি। বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি লিচু বাগানে হাটুগাড়া অবস্থায় গলায় ওড়নার ফাঁস জড়ানো বোনের দেহ উদ্ধার হয়।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ,  রাজিমাকে সাহেদুর বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করেছে ।
    কালিয়াচক থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য মর্গে পাঠায়। তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।