|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : দীর্ঘ কোভিডকাল কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। বাস, ট্রেনের পাশাপাশি যাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে বিমান পরিষেবায়। সঙ্গেসঙ্গে বেড়েছে অবৈধ কাজকর্মও। বিগত কয়েক মাসে ধরে কলকাতা বিমানবন্দরে পরপর সোনা উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী সোনা পাচারের করিডর হয়ে উঠছে কলকাতা?
মূলত দুবাই, ব্যাংকক থেকে সোনা আসছে কলকাতায়। আবার ঘোজাডাঙা সীমান্তেও বিএসএফ সোনা উদ্ধার করছে। পাচারকারীরা অবশ্য কলকাতাকে সেফ করিডর মনে করেই বারবার সোনা পাচারের জন্য এই শহরকে বেছে নিচ্ছে বলেই মনে করছে শুল্ক দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। চোরাই ভাবে আসা সেই সোনা কলকাতা ছাড়াও হাতবদল হয়ে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি কয়েক কোটি টাকার সোনা উদ্ধার হয়েছে কলকাতা নেতাজী সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। তাছাড়াও, গত এক সপ্তাহে একাধিক যাত্রী ও বিমান থেকে সোনা উদ্ধার হওয়ায় এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, এর আগে গত ২৬ জুলাই স্পাইস জেটের সিটের নিচ থেকে ব্ল্যাক টেপ জড়ানো ৩০ লক্ষ টাকার সোনার বার উদ্ধার হয়েছিল কলকাতায়। তিনদিন আগে ২৩ জুলাই ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতায় আসা ইন্ডিগোর বিমানের সিটের নিচে থেকে চারশো গ্রাম সোনার বার উদ্ধার হয়। যার বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা। গত সপ্তাহেও যাত্রীর অন্তরবাস থেকে উদ্ধার হয় প্রায় দেড় কোটি টাকার সোনা। এছাড়াও, কয়েকদিন আগে কলকাতা বিমানবন্দরে আসা দুটি বিমান ও বেশ কয়েকজন যাত্রীর কাছ থেকেও কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা সোনা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের দাবি, মূলত আকাশপথে দুবাই, ব্যাংকক, মায়ানমার হয়ে কলকাতায় সোনা আসে। স্থলপথে বনগাঁ সীমান্তে পেট্রাপোল-বেনাপোল বর্ডার, বসিরহাট সীমান্তে পানিতর-ঘোজাডাঙা বর্ডার। এছাড়া উত্তরের বালুরঘাট-হিলি সীমান্ত থেকেও বাংলাদেশ হয়ে এ রাজ্যে সোনা ঢোকে। মূলত, বউবাজার বা মফঃস্বলের অনেক সোনার কারবারীরা অনেক কম মূল্যে ওই সোনা কিনে গলিয়ে নতুন গয়না তৈরি করেন। এছাড়া প্রতিবেশী রাজ্য বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা এবং উত্তর প্রদেশের ব্যবসায়ীরা ওই সোনা কেনেন।যদিও, কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, বিমানবন্দরে যথেষ্ট আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যাবস্থা রয়েছে। সিআইএসএফ,শুল্ক দফতর, অভিবাসন দফতর যথেষ্ট সজাগ এ’ব্যাপারে।