|
---|
আজিজুর রহমান : ২১ শে জুন, গলসি ২ নং ব্লকের ভূঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এর কুমারপুর গ্রামে ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মীদের দের ঘর ফেরালেন অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবোধ ঘোষ। এদিন বিকালে একটি মারুতি গাড়ি করে নারায়ণ রায় ও সাধন ব্যপারীর দুটি পরিবারকে ঘরে ফেরানোর উদ্দ্যোগ নেতা তৃণমূল নেতা সুবোধ ঘোষ। পাশাপাশি গ্রামের মোড়ে তাদের স্বাগত জানানোর জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। পরিবার দুটির জন্য কিছু খাদ্য সামগ্রী সাহায্যের ব্যবস্থা করেন দলীয় নেতৃত্ব। বাড়ির আসার পথে গ্রামের মোড়ে ওই অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বিজেপির সমর্থক পরিবার দুটি। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। জানা গেছে, বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরে ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় গ্রামের আটটি পরিবার। ইতিমধ্যে প্রশাসনের সাহায্য কয়েকটি পরিবার বাড়ি ফিরেছেন। আজ বিকালে তৃণমূল কংগ্রেস এর উদ্দ্যোগে নারায়ন রায় ও সাধন ব্যাপারী দুটি পরিবারের আটজন সদস্য ঘরে ফিরলেন। তাদের পরিবারের মধ্যে একটি শিশু আছে। নারায়ন রায় বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। ভোটের ফল ঘোষণার পর প্রানের ভয়ে পরিবার নিয়ে আত্মীয়র বাড়ি পালিয়ে যান। তবে তাদের কেউ হুমকি দেয়নি। গত দুইদিন পূর্বে তিনি ওই এলাকার অঞ্চল সভাপতি সুবোধ ঘোষের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপরই আজ বিকালে তারা ঘরে ফেরেন। ঘরে ফিরে স্বস্তির নিশ্বাস ফিরে পান তিনি। সাধন ব্যপারী বলেন, তারা বিজেপি সমর্থক ছিলেন। সেই ভয়েই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তৃণমূল নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেই আজ তারা বাড়ি ফিরলেন। তাদের জন্য কিছু খাদ্যের ব্যবস্থা করেন তৃণমূল নেতা সুবোধ ঘোষ। তাছাড়া তাদের দুটি পরিবার আজ স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগদান করেছেন। ভূঁড়ি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুবোধ ঘোষ বলেন, আমাদের কোন কর্মী ওই পরিবার গুলিকে বাড়ি ছাড়া করেনি। বিজেপি হেরে যাওয়ার ভয়েই ওরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। প্রশাসনের কাছ থেকে বাড়ি ছাড়ার লিস্টে জানতে পারি ওই গ্রামের আটটি পরিবার বাইরে আছে। এর পরই পরিবার গুলির সাথে যোগাযোগ করে বাড়ি ফেরানোর উদ্দ্যোগ নিয়েছি। আজ তাদের এনে গ্রামের মানুষ সাথে মিলিয়ে দিলাম। যাতে তারাও কুমারপুর গ্রাম সবার মতোই বসাবস করতে পারেন। তারা আমাদের ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।