|
---|
আজিজুর রহমান,গলসি : আবারও গলসি থানার ততপরতায় বীরভূমের দুবরাজপুর থানায় ধরা পড়ল ছিনতাইয়ের একটি দল। গলসি থানা যে সজাগ ও সতর্ক তা আর এক বার প্রমানিত হল। জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধা সাতটার সময় গলসির ২ নং জাতীয় সড়কের রাকোনা গ্রামের কাছে একটি মুদিখানা দোকানে সাথে থাকা একটি এয়ারটেল পেমেন্ট ব্যাংকে ফ্লিমি কায়দায় ছিনতাই করে একদল দুস্থিত। দোকান মালিকের আত্মীয় বাপি দে বলেন, পাঁচ ছয়জনের ওই দুস্থিত দল একটি স্করফিও গাড়ি নিয়ে জাতীয় সড়কে পানাগড় দূর্গাপুর মুখে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই গাড়ি থেকে পাঁচ জন বেড়িয়ে জাতীয় সড়কের ওপর প্রান্তে পেড়িয়ে তার কাকার দোকানে যায়। সেখানে প্রেট্রল পাম্পের পাশে তাদের একটি মুদিখানা দোকানে ছিনতাই করে। দোকান মালিক তার কাকা মনোজ কুুমার দে এর মুখে লঙ্কাগুড়ো ছিটিয়ে দিয়ে মারধর করে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নগদ আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার ও বেশ কগেকটি মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। তবে গলসি পুলিশের জন্যই ওই ছিনতাইবাজরা ধরা পরেছে। এমন কাজের জন্য তিনি গলসি থানাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জাতীয় সড়কে গাড়ি নিয়ে দুর্গাপুর অভিমুখে যাবার সময় স্থানীয় পতক্ষদর্শী লালন সেখ গাড়িটিকে চিহ্নিত করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। তার থেকে গাড়ির বিবরণ পেয়ে গলসি থানার পুলিশ তড়িঘড়ি আসে পাশে সহ ভিন জেলায় বিভিন্ন থানায় ওই খবর পৌছে দেয়। এরপরই বীরভূম জেলার দুবরাজপুর থানা নাকা তল্লাশি শুরু করে। ওই সময় রানীগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের গড়গড়া মোড়ের কাছে একটা স্করপিও গাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় উদ্ধার হয় একটা ৭ এমএম আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছয় রাউন্ড গুলি। এছাড়াও তাদের কাছে থাকা ৯ টা মোবাইল ও ২১, ৯১৫ টাকা উদ্ধার হয়। গ্রেপ্তার করা হয় দুজনকে। পলাতক গাড়িতে থাকা আরও তিনজন। ধৃতরা হলেন সদানন্দ যাদব, কুন্দন কুমার যাদব। আসানসোলর বেলডাঙ্গা ডিপো পাড়ার বাসিন্দা সদানন্দ, ও বিহারের জামুই জেলার মোরেল এলাকায় বাসিন্দা কুন্দন। ধৃতদের আজ দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। তবে গলসি থানার ততপরতায় যে ওই কাজটি সম্ভব হয়েছে তা জানান প্রতক্ষ্যদর্শী লালন সেখ।