গলসিতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী কিশোরী

আজিজুর রহমান গলসি : সকালে ভাইয়ের সঙ্গে দাঁত মাজার সময়ে পেস্ট নিয়ে অশান্তি হয়েছিল দিদির। সেই সময়ে ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছিল বাবা ও মা দুজনেই। সেই অভিমান থেকেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল বছর বারোর এক কিশোরী। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গলসি ২ ব্লকের কিশোরকোনা গ্রামে। এই গ্রামের বাসিন্দা বাবু ও টুম্পা আকুঁড়ে পেশায় খেত মজুর। শনিবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে দাঁত মাজা নিয়ে অশান্তি হয়। এরপরে বাবা মা পার্বর্তী কে বকাঝকা করে ছোটভাইয়ের সঙ্গে এমন করার জন্য। পরে চারজন একসঙ্গেই চা মুড়ি খায়। এরপরে বাবু ও টুম্পা দু’জনেই প্রতিদিনের মতন কাজে বেড়িয়ে গেলে মায়ের কাপড় নিয়ে বাড়িতেই গলায় দড়ি দেয় পার্বতী। কিছুটা পড়ে ভাই দেখতে পেয়ে পাড়ার লোকেদের খবর দেয়। সেখান থেকে খবর যায় গলসি থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে। এই ঘটনায় কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পরিস্থিতি বাবু ও টুম্পার। গলসি থানার ওসি দীপঙ্কর সরকার নিজে উদ্যোগী হয়ে শনিবারই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পার্বতীর দেহ ময়না তদন্ত করানোর ব্যবস্থা করেন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় চোখের জল তাঁরও। সামান্য ১২ বছরের মেয়ের মনে কিভাবে এতটা অভিমান জন্মাল সে বিষয়টিও ভাবিয়েছে মনোবিদ দেবাঞ্জনা ভট্টাচার্যকে।