গলসির জুঁজুটিতি বন্ধ ঐতিহ্যবাহী মকরমেলা, ঘাটে সংক্রমণ রুখতে প্রচার উপপ্রধানের

আজিজুর রহমান,গলসি,নতুনগতি : গলসির ভূঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের জুঁজুটিতে বন্ধ হয়ে গেল ৬২ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী মকরমেলা। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জেরে দামোদর নদ সংলগ্ন এলাকায় এখন একরকম জনশুন্য। তবুও এলাকার বেশকিছু মানুষকে দেখা গেল নদীতে পুর্ণ স্নান করতে। ধর্মীয় রীতি মেনেই কিছু মানুষ ওই স্নান করতে আসেন। মেলা কমিটির সদস্য সুকুমার গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ৬২ বছর ধরে তারা এই মেলা চালাচ্ছেন। তার বাপ দাদুরা ওই মেলার সুচনা করেছেন বহু আগে। তিনি বলেন, মকরস্নান করতে পার্শ্ববর্তী বহু গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ দামোদর নদের জুঁজুটি ফেরিঘাটে আসতেন। মানু‌ষের উন্মাদনাকে ঘিরেই তারা ওই মেলা করতেন। যা সাত আট দিন ধরে চলতে। পাশাপাশি তার সাথে বিনামূল্যে যাত্রা সহ বেশকিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। তবে এবছরে করোনার জন্য তারা ওই মেলা বন্ধ করেছেন। স্থানীয় ভুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুবোধ ঘোষ বলেন,  মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে করোনার জন্য। তবে কিছু মানুষ স্নান করতে আসছেন। মানুষকে সুস্থ রাখতে তিনি এদিন একটি সচেতনতা শিবির করেছেন দামোদরের নদ সংলগ্ন মেলার কাছে। যেখানে তারা পঞ্চায়েত সহ ভীন জায়গা থেকে আগত পুর্ণাথীদের মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান ও মিষ্টি বিতরন করলেন। তবে করোনার কারনে এদিন আগের মত ভিড় দেখা যায়নি। তিনি জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ রুখতে মেলার বহু দোকানদারকে তারা আসতে নিষেধ করেছেন তারা। তবে পুজো আর্চানার জন্য তারা ও পুলিশ প্রশাসন সবরকম সহযোগিতা করছেন। পাশাপাশি গলসি থানার পুলিশ এসেও মানুষকে সচেতন করছেন। পুর্নাথী শুক্লা বিশ্বাস ও রাখী গঙ্গুলী জানান, করোনার জন্য ভয়ে ভয়ে তারা দামোদরে স্নান করেছেন। তারপর জল নিয়ে মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। এবারে মেলা না হওয়ায় তাদের কিছুটা আনন্দ মাটি হয়েছে। তবে পরবর্তী বছর যদি পরিবেশ স্বাভাবিক হয় তাহলে সেই আনন্দ ফিরে পাবেন। এদিন জুঁজুটি ঘাটের কাছে শিবিরে এসে জনগনকে সচেতন করেন গলসি ওসি দীপঙ্কর সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধক্ষ্য সুজন মন্ডল বিধায়ক নবীন বাগ, ছাড়াও তৃণমূল নেতা গুলমহম্মদ মোল্লা, সুজিত সাম, নবকুমার হাজরা, হেমন্ত পাল সহ অনেকে।