গলসিতে নতুন পানীয় জলপ্রকল্প থেকে বঞ্চিত তিনটি গ্রামের মানুষ

আজিজুর রহমান,গলসি : পরিসেবা দিতে সরকারি এক কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা ব্যায়ে তৈরী হয়েছে পানীয় জল প্রকল্প। সুবিধা দিতে বাড়ি বাড়ি বসেছে টাইম কল। তবে একটিও কল থেকে জল পরে না এমনই অভিযোগ গলসি ২ নং ব্লকের পিলগ্রাম, তারানগর ও সিমুলিয়া গ্রামের আট নয়শো পরিবারের। অগত্যা চাপাকল ও পুকুরের জলে নিত্যদিনের জল চাহিদা। জানা গেছে, পানীয় জল প্রকল্পের জন্য গলসির কুরকুরা (Kurkuba) গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে তৈরী হয়েছে জয়কৃষ্ণপুর জল প্রকল্প। ২০২০ সালে বেশ কিছুটা জায়গা নিয়ে তৈরী হয় ত্রিশ হাজার কিউসেক একটি জল মজুতের ট্রাঙ্ক। সঠিক পরিসেবা দিতে ৭.৫ এইচ পি করে দুই জায়গায় দুটি মোটরও বসানো হয়। যা সারাদিনে দুইবার চালানো হয়। তবে তিনটি গ্রামের উপভোক্তাদের বাড়িতে জল আসেনা আজানা কারনে। এলাকাবাসী সেখ সবুজ, মিনতী মাঁঝি রেখা খাঁড়া, সেলিমা বিবি, সেখ মইনুন্দিনরা অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় জলের সমস্যা মেটাতে বছর খানেক আগে তিন চারটি গ্রামে পাইপের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি জলের কানেকশন দেওয়া হয়। শুরুর পর বেশ কয়েকদিন ভালভাবে জল পরিসেবা পান তার। তবে বর্তমানে একবারেই পানীয় জল পাচ্ছেন না। এলাকাবাসী সেখ জাভেদ পারভেজ বলেন, আমরা বড় আশা করেছিলাম সরকারি প্রানীয় জল প্রকল্প নিয়ে। কিন্তু এখন দেখছি ঠিকাদার লাভবান হল। বিষয়টি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও কোন সুরাহা পায়নি। এর ফলে পুকুর ও চাপা কলের জল ব্যবহার করছি। সরকার আমাদের জন্য টাকা খরচ করলো তাহলে আমরা কেন সঠিক পরিসেবা পাবনা? মুস্তাক আহম্মেদ নামে আর এক ব্যক্তি বলেন, একবছর আগে জিও ট্যাগ করে কলে জল বের হচ্ছে দেখিয়ে ছবি তুলে নেয় বরাত প্রাপ্ত ঠিকা সংস্থা। তারপর থেকে তাদের আর হদিস নেই। এখন পাইপ আছে কলও আছে। তবে কল থেকে জল বের হয়না। সুত্র মারফৎ জানা গেছে, জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের ট্যাঙ্ক  থেকে প্রতিদিন দুইবার জল ছাড়ছে। তবে কোন এক অজানা কারনে আশপাশের তিনটি গ্রামে জল এসে পৌছায় না। এই বিষয়ে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে জল পৌছে দিতে জল সম্পদ প্রকল্প করেছেন। সেই মতো পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে একের এর এক জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে। গলসির তিনটি গ্রামের মানুষ জল পাচ্ছেন না বিষয়টি তার নজরে নেই। তিনি আজকেই শুনলেন। এলাকার মানুষ তাকে আবেদন করে জানালে তিনি অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন।