গলসিতে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজন পোষণের অভিযোগে পঞ্চায়েত সদস্যরা

আজিজুর রহমান, গলসি : গলসিতে ভিসিটি নিয়োগে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজন পোষণের অভিযোগে উঠল। ঘটনার জেরে এলাকায় শোরগোল পরেছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে গলসি ১ নং ব্লক বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েতের ৮ জন সদস্য। এদিন ওই পঞ্চায়েতের ১৪ জনের মধ্যে ৮ জন সদস্য বিডিওকে লিখিত অভিযোগ দেন। জানা গেছে, ওই পঞ্চায়েতে ভিসিটি অর্থাৎ ভেক্টর ডিজিস কোন্টোরল টিমের জন্য দুটি শুন্যপদ রয়েছে। অভিযোগ, সেখানেই নিয়োগ করার জন্য নিজের ছেলে মনজিৎ রুইদাসের নাম রেজুলেশন করে পাঠান পঞ্চায়েত প্রধান পম্পা রুইদাস। পঞ্চায়েত সদস্যরা অভিযোগে জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতে ভিসিটি নিয়োগের জন্য আবেদন দিয়েছেন এলাকার বেশ কয়েকজন। তবে সেই পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চায়েতে জেনারেল মিটিং না করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান। তারা আরও জানাই, গত ইংরেজীর ২৪ তারিখে আচমকা টেলিফোনে গ্রামসংসদ সভার মিটিং ডেকে সদস্য সদস্যাদের ফাঁকা রেজুলেশনে স্বাক্ষর করিয়ে নেন প্রধান। তারপরই সেই কপি বিডিও অফিসে পাঠিয়ে দেন। পঞ্চায়েত প্রধানের এমন কাজে মুখ খুলেছেন বিজেপির বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য জয়দীপ চ্যাটার্জী। তিনি বলেন, বিষয়টি দুদিন আগে জানতে পরেছি। আজকে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব থেকে জানলাম পঞ্চায়েত সদস্যরা বিডিওকে অভিযোগ করেছেন। তার দাবী, এতে অবাক হবার কিছু নেই। তৃণমূল দলের এটাই এখন আইডোলজি যা সারা রাজ্যে চলছে। কেউ কয়লা চুরি, কেউ বালি চুরি, কেউ গরু চুরি, কেউ চাকরি চুরি করছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ভারতীয় জনতা পাটি হাতে হাত দিয়ে বসে থাকবো না। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরা আন্দোলনে নামবো। তবে এই বিষয়ে গলসি ১ নং ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস জানিয়েছেন, এখনও প্রযন্ত কোন নিয়োগ হয়নি। লোয়া রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দুটি শুন্যপদ আছে। ওখান থেকে একটি রেজুলেশন পেয়েছিলাম। সেখানে দুইজনের নাম পাঠানো হয়েছিল। আজকে কয়েকজন এসে অভিযোগ করে গেছেন। তারা বলছেন ওই মিটিং এ আমরা ছিলাম না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। বিষয়টি নিয়ে লোয়া রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পম্পা রুইদাসকে ফোন করা হলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে তার কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।