গলসিতে পথ দুর্ঘটনায় আহত কতব্যরত পুলিশ অফিসার

আজিজুর রহমান,গলসি : গলসিতে পথ দুর্ঘটনায় আহত হলেন গলসি থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর রঞ্জিত ভট্টাচার্য। দুর্ঘটনাস্থলে এসে তিনি নিজেই দুর্ঘটনার কবলে পরেন। জানতে পারে গেছে, সোমবার গভীর রাতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ডিউটি করছিলেন তিনি। হঠাৎই খবর পান রাকোনা মোড়ের কাছে একটি ট্রাঙ্কার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরেছে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে চালকে উদ্ধার করে নিজের গাড়িতেই স্থানীয় পুরসা হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসার জন্য। পাশাপাশি থানায় ফোন করে ঘটনাস্থলে একটি ক্রেন পাঠানোর কথা বলেন। ওই সময় একটি সিভিককে নিয়ে দুর্ঘটাগ্রস্থ ট্রাঙ্কারের সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এমন সময় পিছন থেকে আসা একটি ট্রাক আচমকা ট্রাঙ্কারের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। ফলে ট্রাঙ্কারটি সামনের দিকে এগিয়ে চলে আসে। সিভিকটি চিৎকার করে নিজে সরে গেলও রঞ্জিত ভট্টাচার্যকে সরে যাবার সময় পাননি। ফলে গরিয়ে আসা ট্রাঙ্কারের ধাক্কায় তিনি রাস্তায় পড়ে যান। সাথে সাথে ট্রাঙ্কারের চাকা তার পায়ের উপরদিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ার ট্রাঙ্কারের তলা থেকে টেনে রঞ্জিত ভট্টাচার্য কে বের করেন। ততক্ষনে থানার ক্রেনটিও চলে আসে ঘটনাস্থলে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন ওসি দীপঙ্কর সরকার। তিনিই গাড়ি করে আহত অফিসার কে বর্ধমানে নিয়ে আসেন। গাড়িতে প্রচন্ড যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকেন রঞ্জিত বাবু। ওই সময় রক্তে ভেসে যাচ্ছিল গাড়ির সিট। রাতেই বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয় তাকে। তড়িঘড়ি শুরু হয় তার চিকিৎসা। ঘটনায় তার পায়ের হাড় বেশ কয়েক টুকরো হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালেই রঞ্জিত ভট্টাচার্য কে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তিত করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার তার পায়ের অপারেশন করা হবে। এবিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা সবাই চেষ্টা করছি রঞ্জিত কে সুস্থ করানোর জন্য।’ গলসি থানা সহ এলাকায় জানা গিয়েছে, রঞ্জিত ভট্টাচার্য নিজের ব্যবহারের জন্য শুধু থানায় নয় এলাকাতেও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। তার এমন ঘটনায় দুঃখিত গলসি এলাকার বহু মানুষ।