গলসিতে প্রতি বুথে ভ্যাকসিনের অভিনব উদ্দ্যোগে উপকৃত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ

আজিজুর রহমান,গলসি : গলসি ১ নং ব্লকের প্রতি বুথে বুথে ভ্যানসিনের অভিনব উদ্দ্যোগ নিয়েছে ব্লক প্রশাসন ও পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আর তাদের সেখ কাজে সহযোগিতা করেছেন পুলিশ প্রশাসন। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় সফল ভাবে ওই কাজ চলছে বলে জানা গেছে। গত কয়েক মাস ধরেই সেই কাজ চলছে বলে জানান পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ ফারুক হোসেন। প্রতিদিনই স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকার কোন কোন বুথে ভ্যাকসিনেশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিন ব্লকের উচ্চগ্রাম, মানকর, লোয়া কৃষ্ণরামপুর, বুদবুদ ও চাকতেঁতুল অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে বুথে বুথে ওই শিবির চলছে। ভোটার লিস্ট ধরে বাড়ি বাড়ি কুপন পৌছে দিচ্ছেন আশা কর্মীরা। সেই কুপন নিয়ে স্থানীয় শিবিরে গিয়ে সহজেই ভ্যাকসিন পাচ্ছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষা। বাড়ির কাছে ভ্যাকসিন শিবির হাওয়ায় উপকৃত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি, হাসপাতাল ও পুলিশ প্রশাসনের এমন সুষ্ট অভিনব উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।  স্থানীয় প্রতিভা কর্মকার ও লতা হালাদার বলেন, আজ তাদের মথুরা পুর গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে ভ্যাকসিন শিবির করা হচ্ছে। তারা সকলেই কুপন নিয়ে খুব সহজেই ভ্যাকসিন পেয়েছেন। পুরসা হাসপাতাল ও বিডিও এমন উদ্দ্যোগ তাদের সুবিধা করে দিয়েছে। উত্তম কুমার পাঁজা নামক এক ব্যক্তি বলেন, বুথে বুথে ভ্যাকসিনের অভিনব ভাবনায় তাদের মত সাধারন মানুষ উপকৃত হয়েছেন। আগে ভ্যাকসিনের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হত। সেখানে লম্বা লাইনে তাদের হয়রানী হতে হবে। তবে এখন সেই ভ্যাকসিন খুব সহজে ও হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছেন। পুরসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই উদ্দ্যোগে তাদের যাতাযাত খরচ ও হয়রানী বন্ধ হয়েছে। এর ফলে তারা খুবই উপকৃত হচ্ছেন। তার দাবী এমন কাজ যদি রাজ্যের প্রতিবুথে হয় তাহলে আরও আরও বেশি সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবেন। হাসপাতালের বিএমওএইচ ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম সপ্তাহে বিডিও অফিসে একটি মিটিং এ বুথে বুথে ভ্যাকসিন শিবির করার আলোচনা হয়। সেই মতো বিডিও অফিস থেকে ভোটার লিস্ট অনুযায়ী ভ্যাকসিন করার কথা বলা হয়। তারপর বিডিও অফিসের লিস্ট মোতাবিক বুথে বুথে পৌছে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই কাজে তাদের সাথে পুলিশ প্রসাশনও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, বিষয়টি খুব দক্ষতার সাথে পরিচালনা করছেন বিডিও ম্যাডাম দেবলীনা দাস। এখন প্রযন্ত কমবেশি এক লক্ষ এগারো হাজার মানুষকে তারা ভ্যাকসিনেশন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।